গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েলি সেনাদের অংশবিশেষ সরিয়ে নিয়ে আসায় ভূখণ্ডটিতে নতুন করে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই শূন্যতায় উঠে এসেছে একাধিক স্থানীয় গ্যাং, যারা হামাসের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। গ্যাংগুলোকে ইসরায়েলি সহযোগী হিসেবে সক্রিয় থাকার এবং মানবিক সহায়তা লুট করার অভিযোগও উঠেছে, যা সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেছেন, হামাস যদি গাজার ভিতরে মানুষ হত্যা ও অরাজকতা বন্ধ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভেবে দেখা হবে। তবে পরে সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশ নেবে না; এমনটি করার জন্য নিজস্ব একটি অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগ নেই এবং কাজটি অন্যরা তাঁর ‘তত্ত্বাবধানে’ করতে পারবে—ইঙ্গিতবশত ইসরায়েলের দিকে নজর রেখে।
গত কয়েক দিনের রক্তাক্ত সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের মধ্যে গ্যাং সদস্য ও বেসামরিক লোকদের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব গ্যাং দায়িত্বশীল নয় তাদের ব্যাপারে সামগ্রিক ক্ষমাসূচক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে; তবু গ্যাং ও হামাসের মধ্যে উত্তেজনা কমার নাম নিচ্ছে না। এদিকে কিছু পর্যবেক্ষক বলছেন, ইসরায়েল গাজায় অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে আগে থেকেই কয়েকটি গ্যাংকে অস্ত্রোপচার করে থাকতে পারে।
আরও
ফিলিস্তিনী ক্ষমতাপ্রাপ্ত নেতা মাহমুদ আব্বাসও হামাসের কড়া সমালোচনা করেছেন; তাঁর দফতর বলেছে, সন্দেহভাজন ইসরায়েলি সহযোগীদের হত্যা-সংক্রান্ত ঘটনা মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন ও আইনের শাসনের প্রতি আঘাত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখন যে বড় চ্যালেঞ্জটি আছে, তা হলো যুদ্ধবিরতি বজায় রেখে গাজার নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা কিভাবে স্থিতিশীল করা যায়—আর সেখানে হামাসকে কিভাবে অংশগ্রহণ ও অস্ত্রত্যাগে অনুপ্রাণিত করা হবে, সেটি এখনই বড় প্রশ্ন।










