ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে চীনের তৈরি এইচকিউ-নাইন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। রাশিয়ার এস-৩০০ এর আদলে তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাকে আধুনিক করতে কিনেছিল। তবে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বুধবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারত অভিযান চালালে পাকিস্তান বেশ কয়েকটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। এরপর থেকেই পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আলোচনায় আসে।
এইচকিউ-নাইন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা একটি ট্রান্সপোর্টার ইরেক্টর লঞ্চার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। প্রতিটি সিস্টেমে ছয় বা তার বেশি ট্র্যাক থাকে এবং প্রতিটি ট্রাকে চারটি করে ক্ষেপণাস্ত্র কনটেইনার থাকে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ওজন প্রায় দুই টন এবং দৈর্ঘ্য ৬.৮ মিটার।
আরও পড়ুন
এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত্রুর যুদ্ধবিমান, ক্রুজ মিসাইল, এয়ার-টু-সারফেস মিসাইল এবং ছোট ব্যালিস্টিক মিসাইল ধ্বংস করতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতি ঘণ্টায় প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে এবং এগুলো ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব ও ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
এতে ১২০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্য শনাক্ত করতে সক্ষম একটি শক্তিশালী রাডার রয়েছে, যা একই সময়ে প্রায় ১০০টি লক্ষ্য ট্র্যাক করতে পারে এবং ৫০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে। ১৯৮০-এর দশকে চীন এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করা শুরু করে এবং ২০০৯ সালে এটি প্রথম প্রকাশ্যে আনে। এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ও রাশিয়ার এস-৩০০ সিস্টেমের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে।
তবে ভারত দাবি করছে, চীনের তৈরি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের কোনো কাজে আসেনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে পাকিস্তানকে ট্রোল করা হচ্ছে। অন্যদিকে পাকিস্তান ভারতের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। ফলে চীনের তৈরি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি।