পর্তুগালের অন্তর্বর্তী সরকার দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাস করা প্রায় ১৮ হাজার বিদেশিকে বহিষ্কার করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্সির মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাঁও আমারো।
মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাঁও আমারো একটি বিবৃতিতে জানান, সরকার এই বিষয়ে প্রায় ১৮ হাজার ব্যক্তিকে নিজ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য নোটিশ জারি করবে।তিনি আরও জানান, প্রথম ধাপে প্রায় ৪,৫০০ অবৈধ অভিবাসীকে স্বেচ্ছায় দেশ ছাড়ার জন্য ২০ দিনের সময় দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়াটি অবৈধ অভিবাসীদের সরাসরি পাঠানো একটি স্বেচ্ছায় প্রস্থান বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুরু হবে।
সংবাদ সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে এসেছে যখন পর্তুগালে ১৮ মে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে সংসদে অনাস্থা ভোটে সংখ্যালঘু সরকার পরাজিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো এই নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তিনি রক্ষণশীল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন
ইউরোপ জুড়ে জাতীয়তাবাদ এবং জনতাবাদী রাজনীতির উত্থানের প্রভাব পর্তুগালেও দেখা যাচ্ছে। দেশটির কট্টর ডানপন্থী দল ‘চেগা’ গত নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সাড়া ফেলে দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অভিবাসন ইস্যুটি এখন পর্তুগালের জাতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই, নির্বাচনের আগে দেশটির বর্তমান সরকার এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।