ভারতের আহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিধ्वস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া এই বিমানে মোট ২৪২জন ছিলেন — যার মধ্যে ছিলেন ২ পাইলট, ১০ ক্রু সদস্য ও ২৩০ যাত্রী। দুর্ঘটনায় সবাই নিহত হয়েন, শুধুই একজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।
নিহত যাত্রীদের মধ্যে ২৬জন মুসলিম ছিলেন বলেও জানা গেছে। দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে টাটা গ্রুপ।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, উড্ডয়নের অল্প সময়ের মধ্যেই বিমানটি রানওয়ে ঘেঁষা আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়ে ও অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ভারতের তদন্তকারী দল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যর কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সাথে মিলে দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন ও পাইলটের কার্যক্রম খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন
এয়ার ইন্ডিয়া প্রকাশিত যাত্রী তালিকায় মুসলিম যাত্রীদের নাম প্রকাশ করেছে, তবে পাসপোর্টের তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে — ফাইজান রফিক, হালানি বদরুদ্দিন হাসান আলি, হালানি মালেকবেন রজিব আলি, হালানি ইয়াসমিন বদরুদ্দিন, মাস্টার মোহাম্মদ আদনান, মিসেস সাজেদাবেন সেলিম, নানাবাওয়া আকীল, নানাবাওয়া এস. (শিশু), পদারিয়া মারিয়াম ইনায়াত, পটেল সাহিল সেলিম ইবরাহিম, সৈয়দ ইনায়াত আলি সৈয়দ মিয়া, সৈয়দ নাফিসাবানু ইনায়াত আলি, সৈয়দ তাসকিন ইনায়াত আলি, সৈয়দ ওয়াকিল আলি ইনায়াত আলি, সৈয়দ আমানি আলি (শিশু), সৈয়দ জাভেদ আলি, সৈয়দ মারিয়াম জাভেদ আলি, সৈয়দ জায়ন আলি (শিশু), তাজুম আদম, তাজু হাসিনা আদম, తপেলিওয়ালা এস, ভোহরা ইয়াসমিন ইয়াসিন ভাই, ভোহরা জেড (শিশু), শেঠওয়ালা এফ (শিশু), ভোরা সালমাবেন রাজাক ভাই ও ভোরা হান্না ইবরাহিম।
ভারতের মুসলিম কমিউনিটির প্রতিনিধিরা নিহত ও তাদের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন — দাফন ও মানসিক সহায়তা দিতে। এয়ার ইন্ডিয়া, ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও সরকার হটলাইন ও কাউন্সেলিং সেন্টার চালু করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তদন্তে সম্পূর্ণ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যও কারিগরি বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনার পর আহমদাবাদে বোয়িং ৭৮৭ এর চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে এবং নিরাপত্তা পরিদর্শকরা পাইলটের প্রশিক্ষণ, বিমানে অ্যালার্ম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছেন।