মালয়েশিয়ার প্লাস্টিক যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী সংস্থা কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা থেকে বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য অপেক্ষায় দিন পার করছেন দুই শতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক। গত বছর কারখানাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের আট মাসের মজুরি আটকে যায়। জানা গেছে, ২৮০ জন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক তাদের কারখানাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ৩ মিলিয়ন রিঙ্গিত বকেয়া মজুরি এবং অন্যান্য পাওনা দাবি করছেন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এপি।
শ্রমিকদের অভিযোগ, মালয়েশিয়ার একটি শ্রম ট্রাইব্যুনাল কাওয়াগুচিকে ৩ মিলিয়ন রিঙ্গিতের বেশি বকেয়া মজুরি পরিশোধের নির্দেশ দিলেও শ্রমিকরা মাত্র ২ লাখ ৫১ হাজার রিঙ্গিত পেয়েছেন। অনেকেই নতুন কাজ খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু মোটা অঙ্কের নিয়োগ ফি পরিশোধ করতে ঋণ নেয়ায় এখন তারা ঋণের বোঝায় জর্জরিত।
তারা অভিযোগ করেছেন, তাদেরকে কখনও কখনও বিরতিহীনভাবে ২৪ ঘণ্টা এবং ছুটির দিনে বিনা বেতনে ওভারটাইম ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। জানিয়েছেন, কাওয়াগুচি কোম্পানি তাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছে এবং তাদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতেও বিলম্ব করেছে।
আরও পড়ুন
কাওয়াগুচির প্রধান গ্রাহকদের মধ্যে দুটি সংস্থা, সনি গ্রুপ এবং প্যানাসনিক হোল্ডিংস কর্পোরেশন, তাদের সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অর্ডার বন্ধ করে দেয়ার পরপরই ডিসেম্বরে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা আরও জানান, কারখানা বন্ধ হওয়ার পর মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা তাদের মধ্যে অনেককে জোরপূর্বক অন্য একটি শহরে নতুন কারখানার কাজে পাঠিয়ে দেন। তাদের নোংরা শিপিং কন্টেইনারের ডরমেটরিতে রাখা হত বলেও জানান অনেকে।