হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ

হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ

দিল্লির আকাশ আজ ধূসর, বায়ুদূষণের চাদরে ঢাকা। এই পরিবেশ শুধু শ্বাসকষ্টই বাড়াচ্ছে না, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যেও তৈরি করেছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপট। দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া হাসিনা এখন ঘরের বাইরে বের হওয়াও যেন এক চ্যালেঞ্জ। তার জীবনও দিল্লির আকাশের মতোই গুমোট ও অস্বচ্ছ।

একসময় টিভি স্ক্রিনে প্রাধান্য বিস্তার করা হাসিনার নাম আজ ফেসবুক লাইভেও গোপন। তার রাজনৈতিক সঙ্গীরাও এখন তাকে এড়িয়ে চলছেন। তবে, তাদের অনেকেই এখনও হাসিনার সুবিধা নেওয়া বন্ধ করেননি। এই বিচ্ছিন্নতা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ওয়ালকার তুর্ককার তুর্কের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন দমনের সময় হাসিনা সরকারের সহিংস পদক্ষেপকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, যা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় ধরনের আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে, হাসিনার দেশে ফেরার সম্ভাবনা এখন চিরকাল অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি হয়তো এখন হুমায়ূন আহমেদের নাটকের সেই সংলাপের মতো বলবেন: “আমার সামনে হাসবা না, আমি হাসি পছন্দ করি না, হাসি বন্ধ।”

 

আরও দেখুনঃ

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।

Probashir city web post