ছাত্রজনতার বিপ্লবে কেবল শেখ হাসিনাই নয়, আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারাও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর গুলির নির্দেশ দেওয়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রের দাবি, ৫ আগস্টের পর তিনি ভারতে পালিয়েছেন। এতদিন নীরব থাকলেও, সম্প্রতি তিনি বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তার এই সাক্ষাৎকারটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
সাবেক মন্ত্রীর বক্তব্যে আওয়ামী লীগের পতনের কারণ ও সরকারের গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য উঠে এসেছে। তিনি বলেন, “আমি ১০ বছর ৬ মাস বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলাম। ৫-৬ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকায় ছিলাম এবং পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে ৭ আগস্ট বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হই।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন গোয়েন্দা বিভাগগুলোর ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গোয়েন্দা ব্যর্থতা ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত, এটি ছিল একটি সামরিক অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট।
ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কেবল প্রতিবেদন সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। এ কারণে সঠিক পদক্ষেপ নিতে আমাদের প্রায়শই দেরি হয়ে যায়।”
আসাদুজ্জামান খান কামাল ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, “ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। এখন কূটনৈতিক উপায়ে তারা আমাদের সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে।”
তিনি আওয়ামী লীগের ভুল সিদ্ধান্ত ও ভবিষ্যৎ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আরও আলোচনা করেন। তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতি এক নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
সাবেক এই মন্ত্রীর বক্তব্য বিভিন্ন মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আওয়ামী লীগের ভেতরে ও বাইরে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের ইঙ্গিত দেয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
