সোমবার (৯ নভেম্বর) ভারত-বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের দিনে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশ থেকে কলকাতা দখলের অভিযোগ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমার কাছে খবর আছে, ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা কলকাতা দখলের জন্য রওনা দিয়েছে। তাদের ক্ষমতা বলে কিছু নেই। শুধু আওয়াজ দিলেই তাদের ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়তে হবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন, অথচ নিজের মন্ত্রিসভার সদস্য সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বাংলাদেশি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমর্থনে অবস্থান নেন। শুভেন্দু আরও দাবি করেন, হিন্দুদের কোনো আন্দোলনের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হয়, অথচ তৃণমূল সরকারের সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ক্ষেত্রে এসব নিয়ম শিথিল থাকে।
ডোমকল বোমা বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় শান্তির কথা বলেন, কিন্তু নিজের ভোটব্যাংকের লোকজনের মৃত্যুর বিষয়ে চুপ থাকেন।”
আরও
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, “কেউ বলছে কলকাতা দখল করবে, কেউ বলছে বিহার দখল করবে। যারা এসব কথা বলেন, তারা যেন সুস্থ থাকেন। আমরা হিংসার পথ নয়, শান্তির পথেই এগোতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে সমর্থন থাকবে আমাদের।”
ভারত-বাংলাদেশ ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এই বক্তব্যগুলো আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। নেতাদের মধ্যে কড়া বাক্য বিনিময় রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।








