ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ইসরায়েল হামলা চালানোর পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই ঘটনাকে চরমভাবে হতাশাজনক উল্লেখ করে বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি ফিল ল্যাভেল জানান, ইউরোপ সফরের প্রাক্কালে ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প সরাসরি ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইরান ও ইসরায়েল দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তবে সবচেয়ে বড় হতাশা এসেছে ইসরায়েলের দিক থেকে।
ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে সমঝোতা নিশ্চিত করা হয় এবং এরপর কাতারের সহায়তায় ইরানকেও চুক্তিতে রাজি করানো হয়। কিন্তু তারপরও ইসরায়েল হামলা চালিয়ে সেই চুক্তি ভেঙে দিয়েছে, যা তার দৃষ্টিতে একধরনের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’।
আরও পড়ুন
এই হামলার পাল্টা জবাবে ইরান কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপরই ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক পোস্টে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে লেখেন, “ইসরায়েল, বোমা ফেলা বন্ধ করো। এটা যুদ্ধবিরতির গুরুতর লঙ্ঘন হবে। এখনই পাইলটদের ফিরিয়ে নাও।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প মধ্যস্থতার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি স্থাপন করে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সফলতা অর্জন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নেতানিয়াহুর আচরণ সেই প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কৌশল বড় ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর দ্বন্দ্ব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। রাজনৈতিকভাবে এটি শুধু ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককেই প্রভাবিত করবে না, বরং মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক হিসাব-নিকাশেও ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।