১ ডিসেম্বর থেকে কয়েক কোটি ব্যবহারকারীদের ফোনে আসবে না ওটিপি। ফলে বিপাকে পড়তে যাচ্ছেস বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। ওটিপি ছাড়া পেমেন্ট বা অনলাইনে ডেলিভারি নেওয়া যাবে না। ফলে বিপদে পড়বেন অনেকেই।
ওটিপিসহ সমস্ত বাণিজ্যিক মেসেজের ক্ষেত্রে ‘ট্রেসেবিলিটি’ নির্দেশিকা বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর করতে আরও একমাস সময় বাড়াল ভারত সরকার। ১ নভেম্বরের বদলে ১ ডিসেম্বর থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ভারতের টেলিকম নিয়ামক সংস্থা।
একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ট্রাই যদি স্প্যাম পলিসি সংশোধন না করে তাহলে ৩০ নভেম্বরের পর থেকে থার্ড পার্টি মেসেজ অনুমোদনে সমস্যায় পড়বে মোবাইল অপারেটররা।
ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাই-এর নতুন স্প্যাম পলিসিতে ওটিপি এবং গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে টেলিকম কোম্পানিগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি ইউআরএল এবং এপিকে ফাইলের সঙ্গে যে কোনও এসএমএস ব্লক করা হবে। কারণ এ থেকে ম্যালওয়্যার ছড়াতে পারে।
এমন মেসেজ হামেশাই আসে। অনেক ইউজার সেই ফাঁদে পা দিয়ে লিঙ্কে ক্লিক করেন। সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্বান্ত হয়ে যান। টাকাপয়সা থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যায়। ফোন চলে যায় হ্যাকারদের কবলে।
টেলিকম কোম্পানিগুলোকে এখন নতুন মেসেজ টেমপ্লেট নিয়ে আসতে হবে, যা পাঠযোগ্য। সমস্ত এসএমএস-ই কড়া স্ক্রুটিনির মধ্যে দিয়ে যাবে। তাতে পাশ করলে তবেই পৌঁছাবে ইউজারের মোবাইলে। এর মধ্যে ইউআরএল এবং ফোন নম্বরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হোয়াইটলিস্টে না থাকলে সেই মেসেজ নেটওয়ার্ক ব্লক করে দেবে।
এসএমএসের উপরে হেডার থাকে। ব্যাংক, পেমেন্ট অপারেটর, অ্যাপ ভিত্তিক গাড়ি পরিষেবা দিচ্ছে তার বিষয়বস্তু। বাণিজ্যিক মেসেজ যাতে ইউজারের জন্য বিপজ্জনক না হয়, তা নিশ্চিত করতে একটি নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সেগুলো পড়া হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post