লেবাননের বৈরুত হাসপাতালের নিচে হিজবুল্লাহর গোপন বাঙ্কারে নগদ অর্থ ও সোনাসহ বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। রবিবার রাতে এসব সম্পদের তথ্য প্রকাশ করা হয়। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তথ্য অনুযায়ী, বাঙ্কারটিতে প্রচুর পরিমাণে নগদ ডলার ও স্বর্ণ রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ কোটি ডলার। এগুলো হিজবুল্লাহর বিভিন্ন কার্যক্রমে অর্থায়ন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
হিজবুল্লাহর আর্থিক সম্পদ জোগানদাতার খোঁজে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে। গত রবিবার আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগরি টেলিভিশনে ব্রিফিং করে এ তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আজ রাতে আমি একটি গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করতে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত যে স্থানটিতে আমরা হামলা করিনি, সেই জায়গায় হাসান নাসরুল্লাহর লাখ লাখ ডলারের স্বর্ণ ও নগদ অর্থ রয়েছে। গোপন ওই বাঙ্কারটি বৈরুতের আল-সাহেল হাসপাতালের নিচে।
ড্যানিয়েল হাগরি বলেন, ‘ওই স্থান থেকে হিজবুল্লাহকে আর্থিক যোগান দেওয়া হতো অভিযোগ আছে। তবুও এখন পর্যন্ত ওখানে হামলা হয়নি। ওই স্বর্ণের বাঙ্কারটিতে আনুমানিক বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ ও নগদ অর্থ রয়েছে। এই অর্থগুলোই লেবাননের রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ব্যবহার হতে পারে।
হাগরি দাবি করেন, বিমান হামলার মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি ছিল ভূগর্ভস্থ ভল্ট। যেখানে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারে নগদ অর্থ ও স্বর্ণ রয়েছে। ওখান থেকে ইসরায়েলে হামলার জন্য অর্থায়ন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও, হাগরি হামলায় সব অর্থ নষ্ট হয়ে গেছে কিনা তা স্পষ্ট করেননি। হাগরির দাবি, হাসপাতাল ছাড়াও বাঙ্কারটি মাটির নিচ দিয়ে আরও দুটি ভবনের সঙ্গে সংযুক্ত যেগুলো প্রবেশ এবং বাহির পথ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আইডিএফের মতে, দীর্ঘদিন লুকিয়ে থাকার জন্য বাঙ্কারটিতে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post