কুয়েতে প্রায় ২৮ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ জন সাধারণ ক্ষমার সুবিধা গ্রহণ করেছেন বা আউট পাস নিয়েছেন কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে। কুয়েতের মিসিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেন সোমবার (১৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবুল হোসেন বলেন, ‘অন্যবারের চেয়ে এবার হয়তো বেশি অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশিরা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করবেন। কারণ এই সুযোগে অবৈধরা কুয়েত ত্যাগ করলে ফের কুয়েতে আসতে পারবেন।
গত তিন বছরে নতুন ভিসায় প্রচুর বাংলাদেশিরা কুয়েতে এসেছেন। প্রায় সাড়ে ছয়শ নার্স গত দেড় বছরে কুয়েতে এসেছেন। এছাড়াও দক্ষ জনশক্তি কুয়েতে নিয়ে আসতে একটি জি টু জি চুক্তিও হয়েছে।’
‘কুয়েতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় কোনো জেল-জরিমানা ছাড়াই দেশে ফিরতে পারবেন অবৈধ অভিবাসীরা।’ ঘোষণাটি দেওয়া হয় গত মাসে। সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা জানানো হয় ১৭ মার্চ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত তিন মাস।
সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার কারণ হিসেবে জানানো হয়, রমজান মাস, কুয়েতের আমির শেখ মিশাল আল-সাবাহ এর শাসনভার গ্রহণ এবং রাষ্ট্রের সবস্তরে মানবিক ভূমিকা সুসংহত করার জন্য।
সাধারণ ক্ষমার তিন মাস সময়সীমার মধ্যে অবৈধ প্রবাসীরা কোনো ধরনের জেল জরিমানা ছাড়াই নিজ দেশে চলে যেতে পারবেন। তবে কারো বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে নির্ধারিত অফিসে যোগাযোগ করে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে কিনা, তা নিশ্চিত হতে হবে।
সাধারণ ক্ষমার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যেসব অবৈধ অভিবাসী বৈধ হওয়ার সুযোগ হারাবেন এবং কুয়েত ত্যাগ করবেন না, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২০১৮ সালে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন প্রায় ৮ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। সবশেষ করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালে সাধারণ ক্ষমায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি আবেদন করেছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post