কুয়েত সরকারের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ২ লাখ অবৈধ প্রবাসীর বসবাস। এ অবস্থায় অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কুয়েতের স্থানীয় গণমাধ্যম আরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩ মাসে বিভিন্ন অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার প্রবাসীর ভিসা বাতিল করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের অনেককে স্থানীয় আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানাও করা হয়। নির্বাসিত এসব প্রবাসীর বিরুদ্ধে নৈতিকতা, অভিবাসন ও শ্রম আইন এবং আকামা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব প্রবাসীর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন ও মিশরের নাগরিকরা রয়েছেন।
নিরাপত্তা, উদ্ধার ও ট্রাফিক বিভাগের তরফ থেকে বলা হয়, যৌথ টহল দল অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করে যাবে। অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কুয়েতের স্থানীয় প্রশাসন।
দেশটির স্থানীয় আইনে এক মালিকের ভিসায় কাজের জন্য আসার পর অন্য মালিকের কাজ করা আকামা আইনের লঙ্ঘন। বাংলাদেশিরা ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায় ভিসা কিনে কোম্পানির কম বেতনের চাকরি করেন। বাড়তি আয়ের আশায় ডিউটি শেষে বাইরে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের অভিযানে গ্রেপ্তার হচ্ছেন। পরে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরে আসছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post