ভাগ্য বদলের আশায় সুস্থ শরীরে বিদেশে গেলেও প্রত্যেক মাসে কয়েকশ প্রবাসী লাশ হয়ে দেশে ফিরেন। আর বছর শেষে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় কয়েক হাজারে। শুধু গত বছরেই ৪ হাজার ৮১৩ জন শ্রমিক লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন। ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের তথ্যমতে, গত ১১ বছরে লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন ৩৭ হাজার ৬৭ জন প্রবাসী শ্রমিক। আর ২০১৪ হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন ৪২ হাজার ৩২৭ জন প্রবাসী।
ঢাকা বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্যমতে, প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০টি মরদেহ দেশে আসে। মৃতদের সঙ্গে আসা নথিপত্র অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি প্রবাসী মারা যান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে বা ব্রেইন স্ট্রোকে। যাদের বড় অংশই মধ্যবসয়ী কিংবা তরুণ। এ ছাড়াও হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা কিংবা প্রতিপক্ষের হাতেও খুন হন বাংলাদেশিরা।
তবে তরুণ কিংবা মধ্যবয়সে কেন এতো বিপুল সংখ্যক প্রবাসী স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুসন্ধান হয়নি। প্রবাসী বাংলাদেশি, মৃতদের স্বজন ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য মূলত মরু আবহাওয়ার দেশ। প্রচণ্ড গরমে প্রতিকূল পরিবেশে অদক্ষ এই বাংলাদেশিরা ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকেন।
আরও পড়ুন
একদিকে প্রতিকূল পরিবেশ, অন্যদিকে অমানুষিক পরিশ্রম, ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকা, দীর্ঘদিন স্বজনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা এবং সব মিলিয়ে মানসিক চাপের কারণেই সাধারণত স্ট্রোক বা হৃদরাগের মতো ঘটনা ঘটে।