ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সহিংসতার বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) এক প্রতিবেদনে জানায়, ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের অফিসে হামলার ঘটনার পর উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বিশেষ করে তিন দিকে বাংলাদেশ পরিবেষ্টিত ত্রিপুরার ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক ঘনিষ্ঠতার কারণে পরিস্থিতি আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে।
এ অবস্থায় বিএসএফের সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
বিএসএফ কনস্টেবল রিয়াঙ্কা মুখার্জি বলেন, “বিএসএফে কাজ করার সময় আমরা নিজেদের ক্ষমতাবান ও আত্মবিশ্বাসী অনুভব করি। এটি আমাদের নিজেদের দায়িত্ব নিতে এবং সমাজের অন্য নারীদের আত্মবিশ্বাসী হতে উৎসাহিত করে।”
একইভাবে বিএসএফ কনস্টেবল মুকুরিয়া ইলা জানান, “আমার পরিবার শুরুতে এই পেশায় আসার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।
তবে সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করা আমার স্বপ্ন ছিল। বিএসএফে আমরা প্রয়োজনীয় সব সুবিধা পাই এবং নিরাপদে কাজ করি। এই বাহিনীর সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত।”
তারা আরও জানান, সীমান্তে দায়িত্ব পালন কঠিন হলেও, এটি তাদের আত্মবিশ্বাস এবং দায়িত্বশীলতা বাড়িয়ে তোলে।
বিএসএফের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড রাজেশ কুমার লাঙ্গেহ বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে ভারতীয় সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আমাদের বাহিনী দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এবং বছরের ৩৬৫ দিন সতর্ক অবস্থায় থেকে দায়িত্ব পালন করে।”
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এই কঠোর নজরদারি এবং তৎপরতা নিশ্চিত করতে বিএসএফ তাদের দায়িত্ব পালন করছে, যাতে উভয় দেশের মধ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post