অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগের প্রকাশ পায়।
বৈঠকে আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ এবং মুখপাত্র উমামা ফাতেমা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান যে, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে হামলা এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে যে ধরনের খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তা দেশের জন্য উদ্বেগজনক।
তিনি আরও বলেন, তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মাঠপর্যায়ের বাস্তব চিত্র নিয়ে গভীর আলোচনা করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
তিনি আরও জানান, ভারত সরকারের সঙ্গে পূর্ববর্তী ফ্যাসিস্ট সরকারের করা চুক্তিগুলো প্রকাশ করার দাবি তাঁরা জানিয়েছেন। ফেলানি হত্যাকাণ্ডসহ সীমান্তে সংঘটিত প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
একইসঙ্গে, পানির ন্যায্য হিস্যার বাস্তবায়ন এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন।
এ প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “ভারত যেন আওয়ামী লীগের দৃষ্টিতে নয়, বরং বাংলাদেশের জনগণের দৃষ্টিকোণ থেকে এ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের ম্যান্ডেট এবং গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে এসেছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন জানিয়ে তাঁদের সংস্কার কার্যক্রমে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে তাঁরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই সরকারকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post