কুয়েতে প্রবাসী ও বিভিন্ন পেশায় দেশটিতে আসতে ইচ্ছুকদের মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালচক্র বিষয়ে সতর্ক করেছে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস।
সোমবার দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে এ বিষয়ে একটি জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশিরা কুয়েতে আগমনের সঠিক পন্থা বা তথ্য না জানার কারণে এক শ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী বা দালাল কর্তৃক বিভ্রান্ত ও বিপদগ্রস্ত হচ্ছেন।
“কুয়েতে একজন প্রবাসী কর্মীর মাসিক সর্বনিম্ন বেতন ৭৫ কুয়েতি দিনার। কোম্পানি থেকে হোস্টেলে থাকার সুবিধা দেওয়া হলেও কর্মীর খাওয়া, মোবাইল ফোন ও ব্যক্তিগত ব্যয়ভার মেটানো বাবদ প্রতিমাসে আনুমানিক ন্যূনতম ৩০ কুয়েতি দিনার ব্যয় হয়ে থাকে।
প্রতিবছর আকামা নবায়ন বাবদ সরকারি ফি ৬০ কুয়েতি দিনার এবং কর্মীর আকামা বিদ্যমান প্রজেক্ট থেকে অন্য প্রজেক্ট স্থানান্তর বাবদ সরকারি ফি ৩৬০ কুয়েতি দিনার কোম্পানির দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ধরনের ফি কর্মীর নিকট হতে আদায় করছে কোম্পানি।
অনেকসময় প্রজেক্টের মেয়াদ না জানায় অপ্রত্যাশিতভাবে আকামাহীন হয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা। কেউ কেউ ফ্রি ভিসায় এসে কাজ না পেয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। এসব কারণে ব্যক্তির শারীরিক ও অর্থক্ষতি ছাড়াও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
এ অবস্থায় কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের ‘ফ্রি ভিসা’ পরিহার করার পরামর্শ দিয়ে দূতাবাস বলছে, কাজের বিস্তারিত জেনে এবং নিশ্চিত হয়ে তবেই অভিবাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post