নোয়াখালীর সূবর্ণচরে বিয়ের দুদিনের মাথায় এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। কলেজের এক বন্ধু তার স্বামীর মোবাইলে অন্তরঙ্গ ছবি পাঠানোয় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর মালিবাগের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকালে তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেন।
তিনি স্থানীয় সৈকত ডিগ্রি কলেজের বিএ ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
নিহতের চাচা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে ভাতিজিকে একই এলাকার মো. সামছুল আলমের ছেলে বিজিবি সদস্য আবদুল্লাহ আল মাহমুদের (২৫) সঙ্গে বিয়ে দেই। এরপর পপির কলেজের বন্ধু চরবাটা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাব্বতের ছেলে মহিন ইসলাম রিয়াদ (২৬) কিছু অন্তরঙ্গ ছবি স্বামীর মোবাইল পাঠিয়ে দেয়।
এনিয়ে তার স্বামী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, তার বাবা মো. সামছুল আলম (৭০) ও বড়বোন কলি আক্তার (৪৫) পপিকে গালমন্দ করেন। এতে সে নিজের ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফাঁস নেন।
জামাল উদ্দিন আরও বলেন, অচেতন অবস্থায় কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক পরদিন তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মালিবাগের এ-ওয়ান হাসপাতালে ভর্তি করলে শুক্রবার রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের চাচা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কলেজছাত্রীর বন্ধু মহিন উদ্দিন রিয়াদ, স্বামী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, শ্বশুর মো. সামছুল আলম ও ননদ কলি আক্তারকে আসামি করে মামলা করেছেন।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া বলেন, পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে রাতে মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পারিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post