পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদের ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’-এ এখন দিনেও বিরাজ করে শিয়াল-কুকুর। শতকোটি টাকার রিসোর্ট এখন অন্ধকারে। নেই আলোকসজ্জা, দামি গাড়ির বহর। নামে না হেলিকপ্টারও।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনার। তিনি বর্তমানে ভারতে আছেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতার মতো লাপাত্তা ডিবির হারুন। এবার ডিবি হারুন সমালোচনায় আসে তার নির্মিত ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’ নিয়ে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে হাওরঘেঁষা এ বিলাসবহুল আধুনিক রিসোর্টটি পরিণত হয়েছে আস্তাবলে।
এ রিসোর্টে রয়েছে হেলিপ্যাড ও অত্যাধুনিক সুইমিংপুলসহ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ৪০টি বিশ্রাম কক্ষ। মিঠামইনের ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ৪০ একরেরও বেশি জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয় এ রিসোর্ট।
এর প্রিমিয়াম স্যুটের প্রতিদিনের ভাড়া ২০ হাজার টাকা। সর্বনিম্ন ডিলাক্স রুমের ভাড়া প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা। ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রিসোর্টটি উদ্বোধন করা হয়। প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন হারুনের ছোট ভাই ডাক্তার শাহরিয়ার।
একসময় মন্ত্রী-এমপি, প্রশাসন এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নায়ক-নায়িকাসহ ধনাঢ্য নারী-পুরুষের এক ‘নিরাপদ আশ্রয়’ হয়ে উঠেছিল এই রিসোর্ট। সারা দিন-রাত বিলাসবহুল গাড়ির বহর আর হেলিকপ্টারের লাইন ছিল প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে। হাওড়ের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট সময়ের পরিক্রমায় এখন ভুতুড়ে পল্লিতে পরিণত হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post