প্রবাসীদের মাধ্যমে দেশে আসছে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। বিদেশে তারা ঘাম ঝরানো পরিশ্রম করে দেশে এসব অর্থ পাঠান। অথচ দেশে ফেরার সময় বিমানবন্দরে তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এই দুর্ভোগ লাঘবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রবাসীদের জন্য দুটি ওয়েটিং লাউঞ্জ খুলেছে। তাদের দেওয়া হয়েছে ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’র মর্যাদা। তাদের ‘স্যার’ সম্বোধন করার নির্দেশনাও জারি হয়েছে।
এদিকে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য তৈরি লাউঞ্জের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, স্বজনের অপেক্ষায় থাকা কোনো যাত্রী লাউঞ্জের ভেতর মালপত্র রেখে ঘুমিয়ে পড়তে পারে। এতে সুযোগ বুঝে মালপত্র নিয়ে চম্পট দিতে পারে ছিনতাই চক্র। এ জন্য লাউঞ্জে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা।
শুক্রবার সরেজমিন যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিমানবন্দরে লাউঞ্জ চালু করায় খুশি প্রবাসী যাত্রী-স্বজন। বিমানবন্দর বহুতল কার পার্কিংয়ের দ্বিতীয় তলায় লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিলেন কুয়েত প্রবাসী মো. শাকিল। তাঁকে বিদায় জানাতে টাঙ্গাইল থেকে বিমানবন্দরে এসেছেন তাঁর বাবা মোশারফ সরকার ও শ্বশুর শাহজাহান আলী। লাউঞ্জে তাদের সঙ্গে কথা হলো। তারা বলেন, বিমানবন্দরে লাউঞ্জ চালু হওয়ায় এখন প্রবাসী বা স্বজনের রোদ-বৃষ্টির দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
লাউঞ্জে অপেক্ষমাণ মোশারফ সরকার জানান, ছেলে মো. শাকিলকে বিদায় জানাতে টাঙ্গাইল থেকে বিমানবন্দরে এসেছেন। সঙ্গে আছেন তাঁর শ্বশুর শাহজাহান আলী। কথা প্রসঙ্গে তারা বলেন, বিমানবন্দরে লাউঞ্জ চালু হয়েছে। তবে লাউঞ্জে আরও নিরাপত্তা দরকার। দুষ্কৃতকারীরা যে কোনো সময় লাউঞ্জে ঢুকে মালপত্র নিয়ে চম্পট দিতে পারে।
লাউঞ্জে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, পুরো লাউঞ্জ সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তাঁকে তল্লাশি করা হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, লাউঞ্জের প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে মেশিন। নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন এক দল এপিবিএন ও আনসার সদস্য। লাউঞ্জে রয়েছে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা, ডে-কেয়ারসহ বসার সুব্যবস্থা। রয়েছে বিমানবাহিনী পরিচালিত ফাস্ট ফুডের দোকান।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, বিমানবন্দর বহির্গমন টার্মিনালে ‘প্রবাসী লাউঞ্জ’ নামে একটি বিশেষ লাউঞ্জ চালু করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post