করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণে ফের ওমান সহ আন্তর্জাতিক কয়েকটি রুটে ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা বাড়ালো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিমানের সব ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। গত রবিবার (২৩ মে) বিমানের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তবে এ সময় বিমানের বাণিজ্যিক চার্টার্ড ফ্লাইট চলবে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ওমানের মাস্কাট রুটের ফ্লাইট ও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানাগেছে, ওমান এবং বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তুলনামূলক এখনো বাংলাদেশের চেয়ে ওমানের করোনা পরিস্থিতি খারাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানের উক্ত কর্মকর্তা।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিমানের উক্ত কর্মকর্তা উদাহরণ দিয়ে বলেন, “ওমানের জনসংখ্যা অনুযায়ী দেশটিতে গতকাল (২৫-মে) নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৯ জন। যা বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে অনেক বেশি আক্রান্ত এবং মৃত হচ্ছে এখনো দেশটিতে।”
তবে দুই দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এর আগেও ফ্লাইট চালু হতে পারে বলে জানান বিমানের উক্ত কর্মকর্তা। তবে ওমানকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় নাম দেওয়াতে বাংলাদেশ সরকারের এমন সিদ্ধান্তের আপত্তি জানিয়েছেন তিনি।
পার্শ্ববর্তী দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব ও কাতার থেকে বাংলাদেশে আসার পর ৩ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হলেও ওমানের জন্য ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন আইনকে অযৌক্তিক বলে দাবী করেছেন তিনি।
তার মতে ওমানে আক্রান্ত কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় নাম উঠার মতো পরিস্থিতি এখনো ওমানে হয়নি। এছাড়াও ওমান থেকে যেসব প্রবাসী দেশে আসবেন, তারা সবাই করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়েই দেশে আসবেন, এর পরেও বাংলাদেশে এসে ১৪ দিনের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টাইন কোনো ভাবেই যৌক্তিক আইন হতে পারেনা বলে মনে করেন তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post