যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আরব নেতারা। কেউ কেউ আশা করছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারবেন। আবার কেউ ইরানের বিরুদ্ধে তার আরো কঠোর অবস্থানের আশা করছেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতা এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদসহ আরব বিশ্বের সব নেতারাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বৈরুতের রিসার্চ সেন্টার ফর কো-অপারেশন অ্যান্ড পিস বিল্ডিং-এর প্রেসিডেন্ট দানিয়া কোলেইলাত খতিব ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, নির্বাচনের সময় ট্রাম্প বাইডেনের আরও লেনদেনমূলক পদ্ধতির তুলনায় এই ধরনের নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছিলেন।
খতিব বলেন, আরব নেতারা চান ট্রাম্প যেন গাজা ও লেবাননে যুদ্ধের অবসান ঘটান।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো। কিন্তু কীভাবে অবসান ঘটানো হবে? আমরা জানি না। উদ্বেগের বিষয় হলো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরানকে আক্রমণ করছেন। এটা খুব বড় ব্যাপার। ইরানকে মোকাবিলা করা ট্রাম্পের জন্য সহজ হবে না।
ধনী উপসাগরীয় দেশগুলো ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে এবং ইসলামিক এই প্রজাতন্ত্রটিকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, তারা ইরানের ওপর হামলা চালানোর জন্য ইসরাইলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না।
নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় ইরান নির্বাচনের ফলাফলকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে বলেছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মাকাতিও ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিরসনে আলোচনার চেষ্টায় যারা জড়িত, তারাও ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ট্রাম্পকে তার নির্বাচনী বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য এবং মিশরীয় ও আমেরিকান জনগণের স্বার্থ অর্জনে একসাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ তার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। জর্ডানের বাদশাহ বলেছেন, তিনি আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে জর্ডানের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে আবারো জোরদার করতে ট্রাম্পের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মুখোমুখি হওয়া লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিও ট্রাম্পকে পুনরায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান।
বিন জায়েদ বলেছেন, তার দেশ সবার জন্য সুযোগ, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের পথে মার্কিন অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও ট্রাম্পকে তার নির্বাচনী জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে আরব নেতাদের সাথে যোগ দিয়েছেন। মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে যুক্তরাষ্ট্র আপনার নেতৃত্বে, ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করবে।’
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানিও ট্রাম্পের নির্বাচনী বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য তার দেশের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছেন।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছেন। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, বিন সালমান দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য সৌদি আরবের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post