বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৪০ পাইলট ও ১০০ কেবিন ক্রু নিয়োগ দিতে যাচ্ছে। এছাড়াও এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন বিভাগে ৩৮ জন নতুন অফিসার নিয়োগ দেবে।
শুধু তা-ই নয়, অতীতে যেসব অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা খুবই ভালো কাজ করেছেন এ ধরনের কিছু কর্মকর্তাকেও চুক্তিভিত্তিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। সূত্র বলছে, এর বাইরেও ট্রাফিক বিভাগে ৯০ জন হেলপার নিয়োগ দেওয়া হবে। সবমিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক জনবল নিয়োগ দিতে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বিমান।
বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বৈমানিক সংকটে ভুগছে। বৈমানিক স্বল্পতায় বিমানের নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা দুরূহ হয়ে পড়ছে। এছাড়া নতুন কোনো রুটে ফ্লাইট চালু কিংবা চলমান রুটগুলোতে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াতে গেলেও বিমানকে সমস্যায় পড়তে হবে। এজন্য ইচ্ছে থাকা সত্বেও লাভজনক রুটেও ফ্লাইট বাড়াতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। পাইলটের আনুপাতিক হারে কেবিন ক্রু নিয়োগ দেওয়া হবে। কারণ কেবিন ক্রু সংকটও অনেক দিন ধরে চলছে।
বর্তমানে বিমানে বৈমানিক সংখ্যা ১৮৬ জন। তবে তাদের প্রয়োজন প্রায় ২৫০ জন বৈমানিক। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সে এখনো ৬০ জনের বেশি বৈমানিক কম রয়েছে।
একজন বৈমানিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন, বিমানের চাকরির প্রতি বৈমানিকেরা আগ্রহ হারাচ্ছে। এর প্রধান কারণ আর্থিক প্যাকেজ প্রতিযোগিতামূলক নয়। বিমান অবশ্য মনে করে শুধুমাত্র আর্থিক প্যাকেজই একমাত্র বিষয় নয়। এর সাথে আরও কারণ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিমানে বৈমানিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বেশ জটিল। কারণ এর সঙ্গে বিভিন্ন স্বার্থ জড়িত, যা একটি বড় সমস্যা। আরও কিছু বিষয়ও রয়েছে; যা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। বিমানে স্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক এবং কিছু বৈমানিক অন্যভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিমানের সদ্য নিয়োগ পাওয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রথম অগ্রাধিকার থাকবে এয়ারলাইন্সে পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনা। এটি এয়ারলাইন্সের বহুল প্রত্যাশিত দাবি। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের গৌরব ফিরিয়ে আনতে হলে পেশাদারিত্বের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে দক্ষ জনশক্তির অভাবই বিমানের বড় সংকট। আর এ কারণেই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগে নতুন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করছে।
সেই সঙ্গে বিমানে শৃঙ্খলার চর্চা প্রতিষ্ঠা করতেও কাজ করছে নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। উদাহরণ হিসেবে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বলেন, টিকিট রিজার্ভেশনের ক্ষেত্রে কোনো সিট ব্লকের সুযোগ দেওয়া হবে না। অনলাইনে প্রত্যেক ফ্লাইটে প্রতিটি সিট সহজলভ্য। এক্ষেত্রে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে।
লাগেজ বেল্টে সময়মতো লাগেজ পাওয়া বিমানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এছাড়া লাগেজ চুরি ঠেকাতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারকেও কঠোর নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post