মহাকাশসংক্রান্ত নানা ধরনের গবেষণা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস)। এই স্টেশনে নিয়মিত বিরতিতে মহাকাশচারীরা সফর করে বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা পরিচালনা করেন। কিন্তু মহাকাশে ভাসমান এই স্টেশনের বেশ কিছু স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এসব ফাটলের মধ্যে বেশ কয়েকটি আবার বেশ বড় ধরনের। আর তাই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করা নভোচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ৫০টি স্থানে ফাটল খুঁজে পেয়েছেন রাশিয়ার প্রকৌশলীরা। তাঁদের তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বড় ধরনের চারটি ফাটল চিহ্নিত করা হয়েছে; যার কারণে খুব দ্রুত মহাকাশ স্টেশনে থাকা নভোচারীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের রুশ অংশে এসব ফাটল ও দুর্বল স্থান দেখা যাচ্ছে। ফাটল মেরামতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রোসকসমস।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা ফাটলগুলোকে নভোচারীদের জন্য মারাত্মক নিরাপত্তাঝুঁকি হিসেবে দেখছে নাসা ও রোসকসমস। নাসার অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি মূল্যায়ন স্কেলে এসব ফাটলের মাত্রা ৫, যা মারাত্মক ঝুঁকির আশঙ্কা প্রকাশ করে। দ্রুত এই ফাটল মেরামত করার কাজ চলছে। নাসার সহযোগী প্রশাসক জিম বলেন, ‘আমরা এই বছরের শুরুতে যখন রাশিয়ায় ছিলাম, তখন একাধিকবার ফাটলের বিষয়টি জানিয়েছি। যেহেতু ফাটল মহাকাশ স্টেশনের হ্যাচের সংলগ্ন, তাই রোসকসমস যতটা সম্ভব হ্যাচটি বন্ধ করার জন্য সম্মত হয়েছে। সন্ধ্যার সময় হ্যাচটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এখন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটি ২০৩০ সাল পর্যন্ত ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। স্পেসএক্সকে এই বছরের শুরুতে নাসা কক্ষপথ থেকে আইএসএসকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়। ২০৩০ সালের পরে একটি বড় ড্রাগন-টাইপ মহাকাশযান তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্পেসএক্সকে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post