একসময় প্রেম করে তরুণ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হৃদয় খানকে বিয়ে করেছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা। তারপর সেই বিয়ে গড়ায় বিচ্ছেদে। নিজেও ছাড়েন দেশ। মিডিয়াকে বলেন গুডবাই।
প্রায় সাত বছর আগেই মিডিয়া ছেড়ে ধর্মের প্রতি অনুরাগী হয়ে দুবাইতে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেই চেষ্টায় সফলও বলা যায়। কারণ এই দীর্ঘ সময়ে মিডিয়ার কারো সঙ্গেই তেমন যোগাযোগ রাখেননি তিনি।
আজ জানা গেল সেই সুজানার বিয়ের খবর।
বলা যায়, নতুন জীবনে পা রেখেছেন সাবেক এই মডেল ও অভিনয়শিল্পী।
গণমাধ্যমকে দুবাই থেকে নিজের বিয়ে খবর নিশ্চিত করেন সুজানা। জানান, গেল ২২ আগস্ট দুবাই কোর্টে বিয়ে করেছেন তিনি। তার স্বামীর নাম সৈয়দ হক, তিনিও দুবাই থাকেন।
পেশায় দুবাইয়ের একজন ব্যবসায়ী তিনি।
সাত বছর ধরে স্বামী সৈয়দ হকের সঙ্গে পরিচয় সুজানার। তবে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। সুজানা বলেন, ‘পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।’
সুজানা আরো বলেন, ‘আগস্টে যখন আমাদের বিয়ে হয়, তখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বাজে ছিল।
তখন এই বিষয়টি জানানোর মতো অবস্থা ছিল না। ইসলামে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে বিয়ে করার কথা কোথাও উল্লেখ নেই। একেবারে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েটা যেহেতু পারিবারিক ব্যাপার। আমাদের দুই পরিবার বিষয়টি অবগত।’
সুজানা জাফর বলেন, ‘আমি সাত বছর আগে থেকে মিডিয়া ছেড়েছি, কারো সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। তাই চাই না আমার ব্যক্তিগত কোনো বিষয় আর নিউজে আসুক।’
সুজানা জানান, তার ইচ্ছা ছিল হানিমুনে না গিয়ে স্বামীর সঙ্গে হজ পালন করবেন। সেই ইচ্ছাও পূরণ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিয়ের দুই দিন পর আমরা দুজনে ওমরাহ পালন করেছি। আল্লাহ আমাকে যে পথে রেখেছেন আমি বাকিটা জীবন এভাবে পার করতে চাই।’
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। তার প্রথম বিয়ে টিকেছিল মাত্র চার মাস। এরপর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে ২০১৪ সালের আগস্টে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে করেন। চার বছর প্রেমের পর সংসার শুরুর মাস তিনেকের মাথায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। আট মাসের মাথায় তারা বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post