গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু চিকিৎসক এবং রোগীকে আটক করেছে ইসরাইলি সেনারা। এরপর তারা সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ খবর দিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। এতে বলা হয়, শনিবার দিনের শেষ দিকে ফিলিস্তিনি সরকারি বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএফএ জানিয়েছে যে, গাজার উত্তরাঞ্চলের বেঈত লাহিয়াতে বহু বাড়ির উপর ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে ইসরাইলের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি এবং মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সরকারি সমর্থন পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে, ইসরাইলি বাহিনী ওই অঞ্চলে চালু তিনটি হাসপাতালের অন্যতম কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হামলা চালায়। স্বাস্থ্য কর্মীরা বলেছেন যে, সেনাবাহিনী ওই হাসপাতালের ৭০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ জনকে আটক করেছে। পরে তারা জানায় যে, সেনাবাহিনী আটকদের মধ্যে হাসপাতালের পরিচালকসহ ১৪ জনকে ছেড়ে দেয়।
হাসপাতালের এই প্রতিবেদন সম্পর্কে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। শুক্রবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে ‘সেখানে সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী অবকাঠামোর উপস্থিতি’ সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতিতে তারা ওই হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালায়।
চিকিৎসকরা বলছেন যে, ইসরাইলি গুলি ওই স্থাপনার জেনারেটর ও অক্সিজেন স্টেশনে আঘাত হানলে নিবিড় সেবা ইউনিটের ভেতরে অন্তত দুই জন শিশু মারা যায়।
হাসপাতাল খালি করার কিংবা রোগীদের ফেলে চলে যাবার জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনীর আদেশ অমান্য করেন হাসপাতাল কর্মীরা। স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছেন যে, সেনাবাহিনীর অভিযানের আগে রোগী এবং তাদের সঙ্গের লোকসহ অন্তত ৬০০ জন হাসপাতালের ভেতরে ছিলেন।
গাজার মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে যে, গত তিন সপ্তাহের ইসরাইলি হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া, বেঈত হানুন ও বেঈত লাহিয়া শহরগুলিতে অন্তত ৮০০ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইল বলছে গাজার উত্তরাঞ্চলে নতুন করে সংগঠিত হামাস যোদ্ধাদের উৎখাত করতে তাদের সেনারা সেখানে ফিরে যায়। শুক্রবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজা ভূখন্ডের উত্তরে লড়াইয়ে তাদের তিন সেনা নিহত হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post