করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। তবে লকডাউন বাড়লেও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে এ সময় চলাচল করতে পারবে সবধরনের গণপরিবহন। এছাড়া হোটেল ও রেস্তরাতেও সীমিত পরিসরে বসে খাওয়া যাবে। রোববার (২৩ মে) বেলা ১২টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এরআগে বিধিনিষেধ আরও সাত দিন বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সুপারিশ করেছিল মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। তবে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে ছিল।
এরআগে এ প্রসঙ্গে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৮ মের পর আর কোনো আপডেট নেই। মিটিংও হয়নি। আমাদের মূল ফোকাস স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নেওয়া। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে বিপদ আছে।
তিনি আরও বলেন, টিকা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। আমাদের টার্গেট ১২ কোটি টিকা প্রদান। এটা নিশ্চিত করতে হবে। ঈদের সময়ের পরিস্থিতির কারণে করোনা বেড়ে যাওয়া শঙ্কাটা এখনও আছে। এই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পুরো জুন মাসই ঝুঁকির মধ্যে আছি আমরা।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারাদেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সাত দিনের লকডাউন। লকডাউন শেষে দুদিন বিরতির পর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে লকডাউন বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। এরপর গত ৩ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আবারও লকডাউন বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে লকডাউনে সবকিছু শিথিল করলেও প্রবাসীদের ফ্লাইটের বিষয়ে কোনো নতুন সিদ্ধান্ত দেয়নি সরকার। এমতাবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আটকাপড়ে আছেন অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশী। একইসাথে দেশে এসেও আটকাপড়ে আছেন অনেক প্রবাসী। এরমধ্যে অনেক প্রবাসী ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আশংকায় রয়েছেন। আবার অনেকেই যথাসময়ে কাজে যোগ না দিতে পারলে চাকরি হারানোর আশংকায় রয়েছেন। এমতাবস্থায় ওমান সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক করতে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post