মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট ভোগান্তি কমাতে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল থেকে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হলেও সেবার গতি মন্থর। প্রবাসীদের অভিযোগ, তারা ই-পাসপোর্টের আবেদন করেও তিন থেকে ছয় মাস অপেক্ষার পরও পাসপোর্ট পাচ্ছেন না। এতে বৈধ প্রবাসীরাও পাসপোর্টের অভাবে অবৈধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছেন। হাইকমিশনের ফেসবুক পেজেও প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে, যেখানে প্রবাসীরা তাদের সেবার অভিজ্ঞতার কষ্টের কথা উল্লেখ করেছেন।
হাইকমিশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং একটি দালালচক্র ঘুষের বিনিময়ে দ্রুত সেবা প্রদানের কথা বলে প্রবাসীদের হয়রানি করছে। ঘুষ না দিলে প্রবাসীরা সময়মতো পাসপোর্ট পান না। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে, ঘুষ দিলেও সঠিক সময়ে পাসপোর্ট দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। সিন্ডিকেটটি মূলত এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন করতে উৎসাহী করে তুলছে, যাতে ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়ার মতো জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য তথ্য জমা দিতে না হয়।
পাসপোর্ট বিতরণের প্রক্রিয়াটিও অনেক জটিল, যা প্রবাসীদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আবেদন জমা নেওয়া হলেও মালয়েশিয়ার পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রবাসীদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে হয়। এতে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়ছেন, বিশেষ করে যারা শিক্ষিত নন বা অবৈধ প্রবাসী। দালালচক্র এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে এবং প্রবাসীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে।
হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশে এমআরপি প্রিন্টিং মেশিনের ত্রুটি ও ফয়েল পেপার ঘাটতির কারণে পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে, যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে হাইকমিশনের অভ্যন্তরে সিন্ডিকেট নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে তারা রাজি হননি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post