প্রবাসীদের পাসপোর্ট ভোগান্তি কমাতে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল থেকে মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে সরকার। তবে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুরে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে মো. নাসিম নামে এক প্রবাসী লিখেছেন, ‘তিনি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন তিন মাস আগে। তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। জি-মেইলে সব তথ্য দিলেও কোনো রিপ্লাই পাচ্ছেন না।
প্রবাসী নাসিমের ওই কমেন্টসের সূত্র ধরে হাইকমিশনের ফেসবুক পেজ ঘেঁটে দেখা যায়, পাসপোর্টের জন্য রীতিমতো হাহাকার করছেন সেখানে অবস্থানকারী বাংলাদেশি প্রবাসীরা। তারা আবেদন করে তিন থেকে ছয় মাস পরও হাতে পাচ্ছেন না পাসপোর্ট। যদিও তা ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো তা না পেয়ে বৈধ প্রবাসীরাও পাসপোর্টের অভাবে অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন, পড়ছেন নানা ভোগান্তিতে। এসব বিষয়ে দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও এই প্রবাসীরা ব্যর্থ হচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাজেহালও হতে হচ্ছে হাইকমিশনের পাসপোর্ট বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের হাতে।
মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে অন্তত ১৫ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি মাসে অন্তত গড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার প্রবাসী ই-পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনে আবেদন করে থাকেন।
কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের কাছে পাসপোর্ট সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি নির্ধারিত ফির সঙ্গে ঘুষের নামে অতিরিক্ত টাকা না দিলে পাসপোর্ট মেলে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার পরও নির্ধারিত সময়ে তা পাওয়া যায় না।
সিন্ডিকেটে কারা: বাংলাদেশি প্রবাসী অধ্যুষিত দেশটিতে সরকার এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি) পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণ করতে নানা ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে। এরপরও সেখানে প্রবাসীদের পাসপোর্ট পেতে বিলম্বের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, খোদ হাইকমিশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন প্রবাসীরা।
ভুক্তভোগী প্রবাসীদের অভিযোগ, কাউন্সেলর (ভিসা ও পাসপোর্ট) মিয়া মোহাম্মদ কেয়ামউদ্দিন নিজেই প্রবাসীদের পাসপোর্ট পেতে হয়রানি ও ভোগান্তির মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আবেদন জমা দিয়েও মাসের পর মাস ধরে অপেক্ষা করে পাসপোর্ট না পেয়ে ওই কর্মকর্তার সাক্ষাৎ চেয়েও পান না প্রবাসীরা। তার নামে হাইকমিশনের দুই কর্মী মুহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী ও মঞ্জিল হোসেন রাতুল এই সিন্ডিকেট দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। তাদের হয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে শতাধিক দালাল গড়ে উঠেছে। তাদের ঘুষ দেওয়া ছাড়া সেখানে পাসপোর্ট পাওয়া কঠিন বলে জানিয়েছেন কয়েক ভুক্তভোগী প্রবাসী।
যেভাবে সক্রিয় সিন্ডিকেট: ডিআইপি ও হাইকমিশন সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সেখানে এমআরপি আবেদনের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালাতে বাংলাদেশ সরকার সেখানে ‘এক্সপার্ট সার্ভিসেস (কুয়ালালামপুর)’ নামে একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি মালয়েশিয়ান মুদ্রায় ৩২ রিঙ্গিত বা ৭ দশমিক ৩৪ মার্কিন ডলার সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে প্রবাসীদের পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ, ফি ব্যাংকে জমাকরণ, ছবি তোলা ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তবে পাসপোর্ট তৈরি হওয়ার পর তা বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে হাইকমিশনের পাসপোর্ট বিভাগ। এর আগে কাউন্সেলর ভিসা ও পাসপোর্ট অফিস এসব আবেদন যাচাই করে তা অনুমোদন করে পাসপোর্ট ছাপার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে থাকে। কিন্তু সময়মতো অনুমোদন (অ্যাপ্রুভাল) না দেওয়ায় নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট পান না প্রবাসীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেখানে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম চালুর পর ভোগান্তি কমে আসা শুরু হলেও সিন্ডিকেটের প্রভাবও কমে আসে। এর পরই সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অসাধু সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিজস্ব দালালদের মাধ্যমে প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট বাদ দিয়ে এমআরপি নিতে উৎসাহী করে আসছে। ই-পাসপোর্টে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ জমা দিতে হয় এবং এতে ‘নানা হয়রানি হতে হয়’—দালাল চক্র এমন অপপ্রচার চালিয়ে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এড়িয়ে হাইকমিশনের একটি উপ-পাসপোর্ট সেন্টারে এমআরপি ফরম জমা নেয়। এই আবেদনের সঙ্গে শুধু পুরোনো পাসপোর্টের একটি ফটোকপি জমা দিতে হয়। এভাবে মাসে অন্তত ৬ থেকে ৮ হাজার এমআরপি আবেদন জমা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রবাসীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ নেই উল্লেখ করে এবং সিন্ডিকেট তাতে দ্রুত অনুমোদন দিয়ে তা ঢাকায় ডিআইপিতে পাঠাচ্ছে। যদিও মালয়েশিয়াতেই বাংলাদেশি প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় এমআরপি পেয়েছেন এমন কয়েক প্রবাসী সূত্র বলছে, এই এমআরপি পেতে প্রবাসীদের সরকারি ফির সঙ্গে ৩০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিত বেশি দিতে হচ্ছে। এই টাকা সিন্ডিকেটের সদস্যরা ভাগ করে নিচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিতে এমআরপি আবেদনকে উৎসাহ দিতে ই-পাসপোর্ট আবেদন জমা পড়লেও তা অ্যাপ্রুভালে গড়িমসি করে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। এতে প্রতিমাসে গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার ই-পাসপোর্ট আবেদন জমা হলেও এমআরপির আবেদন জমা হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার। এমন অবস্থায় ফের গত আগস্টেই ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মালয়েশিয়ায় এমআরপি আবেদনে নিরুৎসাহী করা হয়।
প্রবাসী সূত্র বলছে, দেশটির পেনাং প্রদেশে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা সেন্টারের সামনে পাসপোর্ট সেবা নিতে গিয়ে আবদুল কাদের নামে এক প্রবাসী হেনস্তার শিকার হন। ওই প্রবাসী পাসপোর্ট পেতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মদ কেয়ামউদ্দিন। তিনি তার জামার কলার ধরে টানাহেঁচড়া করেন। ওই ছবি ভাইরাল হলে এ নিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। ওই প্রবাসীর বিরুদ্ধে পুলিশেও অভিযোগ করা হলে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে।
প্রবাসীদের অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সেলর (ভিসা ও পাসপোর্ট) মিয়া মোহাম্মদ কেয়ামউদ্দিন বলেন, ‘আমি কাউকে ই-পাসপোর্ট বা এমআরপি নিতে উৎসাহিত বা বাধা দিতে পারি না। একটি গ্রুপ তার বিরুদ্ধে এসব ছড়াচ্ছে।’ তবে তিনি স্বীকার করেন ই-পাসপোর্ট নিতে গেলে অনেকের তথ্য বিভ্রাট থাকে, জন্মসনদের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এমআরপির তথ্য মেলে না। যাদের তথ্য মেলে না, কেবল তাদেরই তাতে নিরুৎসাহিত করে এমআরপি নিতে বলা হয়। তার নামে সিন্ডিকেট চলার অভিযোগটিও অস্বীকার করেন তিনি।
একজন প্রবাসীকে কলার ধরে হেনস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই লোকটি দালাল। এজন্য তিনি তাকে ধাওয়া করে ধরেছেন। এখন আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ রং চটিয়ে সেই ছবিটা ছড়াচ্ছে। যদিও দালাল হিসেবে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন এবং পুরো বিষয়টি ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছেন।
দালাল হলেও তিনি বাংলাদেশি প্রবাসী এবং একজন প্রবাসীকে কলার ধরে টানাহেঁচড়া করতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নে মিয়া মোহাম্মদ কেয়ামউদ্দিন বলেন, ‘কাজটা তার ঠিক হয়নি হয়তো; কিন্তু ওই ব্যক্তি যে দালাল, তা শুনে একটু রেগে গিয়েছিলেন।
পাসপোর্ট পেতে মাসের পর মাস হয়রানি ও ভোগান্তির তথ্য তুলে ধরে প্রবাসীরা ক্ষোভ ঝাড়ছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে। গত মঙ্গলবার সকালে সেখানে মোহাম্মদ শাওন নামে এক প্রবাসী ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ এমবাসি একটা দায়িত্বহীন এমবাসি! ৩ মাস হয়ে গেছে পাসপোর্ট রিনিউ করতে দিছি, কোনো খবর নাই।’ ওই পোস্টের নিচে রাকিব খান নামে আরেক প্রবাসী লেখেন, ‘ওরা (দূতাবাস) প্রবাসীকে মানুষ মনে করে না।
মো. আক্তারুজ্জামান নামে একজন প্রবাসী লিখেছেন, ‘পাসপোর্ট রিনিউ করতে দেওয়া হয়েছে, নির্ধারিত টাইম দেওয়ার পরও সেটা অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে। এজন্য অনেক প্রবাসী অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। এর সম্পূর্ণ দায় এই হাইকমিশনের নিতে হবে। এসএম শামীম আহমাদ নামে অন্য একজন প্রবাসী লিখেছেন, তিনি আবেদন করার ৮ মাস পার হলেও পাসপোর্টের খবর নেই। এজন্য তিনি ৩ মাস ধরে অবৈধভাবে রয়েছেন।
আলী আহমেদ দুর্জয় নামে এক প্রবাসী বলেছেন, ‘একটা পাসপোর্ট রিনিউ করতে মালয়েশিয়াতে ৬ থেকে ৯ মাস লেগে যায়, যার জন্য হাজার হাজার প্রবাসী ভিসা রিনিউ করতে পারে না।
শুধু এই কয়েকজন প্রবাসীই নন, দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজটি ঘেঁটে দেখা গেছে, শত শত প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের পাসপোর্ট ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেছেন সেখানে। তবে দু-একটিতে পেজের অ্যাডমিন বিষয়টি নিয়ে দূতাবাসে ইমেইল করার পরামর্শ দিয়ে দায় সারতে দেখা গেছে। তাতে আবার অনেক প্রবাসী মন্তব্য করছেন যে, ইমেইল চালাতে জানলে শ্রমিক হয়ে মালয়েশিয়ায় আসতেন না।
পাসপোর্ট গ্রহণ করতে গিয়েও ‘সিস্টেম’ ভোগান্তিতে প্রবাসীরা: ভুক্তভোগী প্রবাসীরা বলছেন, হাইকমিশনের সিস্টেমের কারণে পাসপোর্ট গ্রহণ করতেও তাদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক কোম্পানি দিয়ে তারা পাসপোর্টের আবেদন জমা নিলেও মালয়েশিয়ার পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট রিসিভ করতে হয় অন্য জায়গায় গিয়ে। সেটি পেতে আবার পোস্ট অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাপয়নমেন্ট নিতে হয়, এরপর অনেক পোস্ট অফিস থেকে নিকটস্থ পোস্ট অফিস বাছাই করলে একটি বারকোড আসে। সেটা নিয়ে সশরীরে পাসপোর্ট রিসিভ করতে যেতে হয়। তবে প্রবাসীদের বেশিরভাগই শ্রমিক এবং শিক্ষিত না হওয়ায় এসব ডিজিটাল সিস্টেমের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। পাশাপাশি অনেক অবৈধ প্রবাসী ভয়ে সরকারি পোস্ট অফিসে পাসপোর্ট রিসিভ করতেও যেতে চান না। এই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে দালাল চক্র।
সম্প্রতি পাসপোর্ট পেয়েছেন এমন একজন প্রবাসী জানান, হাইকমিশন থেকেও পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয়। এজন্য সেখানে ৭ নম্বর কাউন্টার নির্ধারণ করা রয়েছে। তবে ওই কাউন্টারে বিতরণকারী কর্মকর্তা পাওয়া যায় না। দীর্ঘ অপেক্ষার পর পাওয়া গেলেও খারাপ আচরণের শিকার হতে হয় তাদের।
প্রবাসীরা সময় মতো পাসপোর্ট না পাওয়ার বিষয়ে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এক্সপার্ট সার্ভিসেসের পরিচালক (ব্রান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং) আরমান পারভেজ মুরাদ বলেন, তারা মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট বিতরণ করেন না, সেটি হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে করা হয়। তাদের প্রতিষ্ঠান শুধু আবেদন গ্রহণ, ব্যাংকের টাকা জমাকরণ ও বায়োমেট্রিকের কাজটি করে এবং তা প্রতিদিনের আবেদন প্রতিদিনই হাইকমিশনের কাছে প্রেরণ করে থাকেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান ৪৫টি কাউন্টারের মাধ্যমে এই সেবা দিয়ে থাকে। নির্ধারিত কাউন্টার ছাড়াও হাইকমিশনের নির্দেশে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতেও পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করেন তারা। তবে এই পাসপোর্ট বিতরণ তারা করেন না এবং বিলম্বের দায় তাদের নয়।
পাসপোর্ট পেতে এই ভোগান্তি ও অপেক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে মালয়েশিয়ায় দায়িত্বরত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান লিখিত বক্তব্যে কালবেলাকে বলেন, এমআরপির ফয়েল পেপার ঘাটতি ও প্রিন্টিং মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট প্রিন্ট হতে বিলম্ব হওয়ায় মালয়েশিয়ায় বসবাসরত এমআরপি প্রত্যাশী বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট পেতে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব হচ্ছে। এজন্য তারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ বিষয়ে হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং সমস্যাগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানে তারা সচেষ্ট রয়েছেন।
তবে হাইকমিশনের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাসপোর্ট সিন্ডিকেটের বিষয়ে হাইকমিশনার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post