একদিকে ইসরায়েলি সেনারা গাজায় গোলাবর্ষণ করছে, অন্যদিকে রকেট হামলা চালিয়ে তার জবাব দিচ্ছে গাজাবাসী ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে ইসরায়েলের সমালোচনায় যখন সারাবিশ্ব, সেখানে একমাত্র মিত্র দেশ হিসেবে ভারতীয় মিডিয়া এবং নাগরিক প্রকাশ্যে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। ভারতীয়দের এমন কর্মকান্ডে ওমান ও কাতার প্রবাসীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ওমানে সলোমন কালভিন নামে এক ভারতীয় নাগরিক ইসরাইলকে সাপোর্ট করে ফেসবুকে হ্যাসট্যাগ দিলে এই ক্ষোভের সূত্রপাত হয়।
১৬ মে আবু আল হাওরি নামে ওমানের এক সোশ্যাল এক্টিভিস্ট ভারতীয় ওই প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওমান পুলিশের কাছে দাবী জানান। ভারতীয় উক্ত নাগরিক ওমানের দুকুম এরিয়াতে কাজ করে বলে প্রাথমিক সূত্রে জানাগেছে, এদিকে ওমানি নাগরিক আবু আল হাওরি তাকে গ্রেফতারের হুশিয়ারি দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অবশেষে এ ব্যাপারে মুখ খুলেছে ওমানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।
ওমানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের বিবৃতি
মঙ্গলবার (১৮-মে) এক বিবৃতিতে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, ওমানের সাথে ভারতের একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে, সুতরাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের পোষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় এখন পর্যন্ত ২১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৬১টি শিশু রয়েছে। এত মৃত্যুর পরেও থামছে না ইসরায়েলের হামলা। বরং গাজায় হামলা অব্যাহত থাকবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ইসরায়েলের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করেছে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। ইসরাইলের সংঘাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবস্থান নিয়ে নিজ দলের মধ্যেই তোপের মুখে পড়েছেন জো বাইডেন। নিজ দল ডেমোক্র্যাটরা বাইডেনের মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগের কথা বলছেন। সেখানে ভারতীয়দের এমন আচরণে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওমান প্রবাসীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post