ইসরায়েল পৃথিবীর একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র। ইসরায়েল নিয়ে একটি কথা প্রচলিত যে, এই দেশ সম্পর্কে তারা যতটুকু জানায় বিশ্ববাসী ঠিক ততটুকুই জানে। ইসরায়েল হলো এমন একটি দেশ যেখানে শুধু ইহুদিদেরই বসবাস। আর ইহুদি হলেই কেবলমাত্র সে দেশের নাগরিক হওয়া সম্ভব। এজন্য ইসরায়েলকে ‘প্রমিজ ল্যান্ড’ ও বলা হয়। পুরো বিশ্বে এক কোটি ৭০ লাখ ইহুদি বাস করলেও তার মধ্যে শুধু ইসরায়েলেই বসবাস ৯০ লাখ ইহুদির। মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সারও বলা হয় দেশটিকে, কিন্তু কেন? তা জানানোর জন্যই আজকের আয়োজন-
এবার তবে জেনে নিন ইহুদি কারা?
ইহুদি (ইয়াহুদীম) মূলত একটি জাতি বা ধর্মীয় জনগোষ্ঠী যারা বনী-ইসরায়েল জাতির অন্তর্গত এবং জাতিগতভাবে ইহুদি ধর্মের অনুসারী। ইব্রাহীমের পুত্র ইসহাক, তার পুত্র ইয়াকুব ওরফে ইসরাইল (ইসরাঈল বা ইস্রায়েল) এর বংশধরগণ বনী-ইসরায়েল নামে পরিচিত। ইয়াকুবের বারো পুত্রের নামে বনী-ইসরায়েলের বারোটি গোষ্ঠীর জন্ম হয় যার মধ্যে ইয়াহুদা’র ছেলে-মেয়েরা ইহুদি নামে পরিচিত।
ইহুদীদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন: ‘হে বনী-ইসরাঈলগণ! তোমরা স্মরণ কর আমার অনুগ্রহের কথা, যা আমি তোমাদের উপর করেছি এবং (স্মরণ কর) সে বিষয়টি যে, আমি তোমাদেরকে উচ্চমর্যাদা দান করেছি সমগ্র বিশ্বের উপর।’ (সূরা ২-৪৭)
ইসরায়েলের অবস্থান
ছোট্ট দেশ৷ কিন্তু কত ছোট? ইসরাইলের আয়তনই বা কত? ইসরায়েলের ভূমি চুক্তিতে থাকে না, বাস্তবে থাকে। ১৯৪৯ সালে ইসরায়েল, লেবানন, জর্ডান ও সিরিয়ার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তি অনুযায়ী দেশটির আয়তন হওয়ার কথা ২০ হাজার ৭৭০ বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু ইসরাইলের আয়তন এখন ২৭ হাজার ৭৯৯ বর্গ কিলোমিটার। দেশটি ইসরায়েল ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। এর রাজধানী জেরুজালেম। এর দক্ষিণে রয়েছে বিশাল মরুভূমি, লোহিত সাগর আর উত্তরে রয়েছে বরফ আবৃত পর্বতমালা
ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম
হলো বেলফোর ঘোষণার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ব্রিটিশ সেক্রেটারি মি. বেলফোর ১৯১৭ সারে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে ঘোষণা দেন সেটায় বেলফোর ঘোষণা হিসেবে পরিচিত। এর মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসিত ফিলিস্তিন ভূ-খণ্ডকে দু’ভাগ করে এক ভাগ ফিলিস্তিন ও এক ভাগ ইসরায়েল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার জন্য জাতিসংঘে গণভোটও গ্রহণ করা হয় ১৯৪৭ সালে। তবে সে গণভোটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবে ভোটের রায় চলে যায় ইসরায়েলের পক্ষে।
রাষ্ট্র ভাষা কয়টি?
জানেন ইসরাইলের রাষ্ট্রভাষা ক’টি? দু’টি। আধুনিক হিব্রু ভাষা এবং আরবি। হিব্রু ভাষার কথা তো সবাই শুনেছেন, কিন্তু ‘আধুনিক হিব্রু’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে তা হয়ত অনেকেই বুঝতে পারবেন না। এই ভাষাটি গত ১৯ শতকের শেষভাগ পর্যন্তও বিকশিত হয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আধুনিক হিব্রুর শেকড় প্রাচীন হিব্রু হলেও এখন এ ভাষায় ইংরেজি, স্লাভিচ, আরবি এবং জার্মানসহ অনেকগুলো বিদেশি ভাষার প্রভাব রয়েছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্ক কেমন?
বিশ্বে বর্তমানে ১৬১টি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও মুসলিম রাষ্ট্র এখনো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। আর দেশ হয়েও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মিশর। এজন্য আরবলীগ থেকে মিশরকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। বর্তমানে ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশ হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন।
সৌদি যুবরাজকে প্রায় সময়ই ইসরায়েলের পক্ষে গণমাধ্যমে মন্তব্য দিতে দেখা যায়। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ড খ্রিষ্টান প্রধান দেশ হয়েও ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়েছে। তাদের মানচিত্রে ইসরায়েলের স্থানে জায়গা দিয়েছে ফিলিস্তিনিকে।
ইসরায়েলের নারীরা যেভাবে সৌন্দর্যকে কাজে লাগান
ইসরায়েলের নারীরা বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী বলে খ্যাত। তারা স্বভাবে অন্যান্য দেশের নারীর তুলনায় বেশ উগ্র। টাকার জন্য তারা সব করতে পারে। এমনকি পতিতাবৃত্তিও। মিশেল রোজেন নামক ইসরায়েলের এক নারী সাংসদ এ তথ্য প্রকাশ করেন। এসব নারীরা বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাধর রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করার সুযোগ খোঁজেন। মূলত আরব নেতাদের নৈতিকভাবে ধ্বংস করতে ও ইসরায়েল বিরোধিতার পথ থেকে দূরে রাখতে তারা এই কৌশল গ্রহণ করে।
ইসরায়েলে পতিতাবৃত্তি
১৯৪৯ সালে ইসরায়েলে পতিতাবৃত্তি বৈধ ছিল। যদিও ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত সমকামী পতিতাবৃত্তি ছিল নিষিদ্ধ। তবে ১৯৬২ সালে ঘরে পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ থাকলেও রাস্তায় নিষিদ্ধ ছিল না। এটি ইসরায়েলি ফৌজদারি আইন ১৯৬৬, ধারা ১৯৯-২০২ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত এটি নির্বিঘ্নে চলমান বিষয় ছিল। ১৯৯০ এর দশকে অন্যান্য দেশের মতো, নারী নির্যাতন, নারী পাচার একটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে ওঠে। ২০০৩ সালে, ইসরায়েল একটি আইন পাস করে, যা রাষ্ট্রকে পাচারের মুনাফা বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেয়। তবে নজরদারি গোষ্ঠী দাবি করে, এটি খুব কমই কার্যকর। ২০০৭ সালে একটি বিজ্ঞাপনকে নিষিদ্ধ করা হয়।
এটি নিয়ে অনেক বিতর্ক শুরু হয়। ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ইসরায়েলের সংসদে একটি বিল উত্থাপন করা হয়, যা ছিল যৌন সংশ্লিষ্ট ক্রয় বিষয়ক। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরেকটি খসড়া বিল মন্ত্রীসভার অনুমোদন পেয়েছিল। দণ্ডবিধি থাকা সত্ত্বেও, পতিতাবৃত্তি ব্যাপক বৈধতা লাভ করে এবং সামাজিক নিয়মকানুন পতিতাবৃত্তি এবং পাচারের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে। উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে জানা যায়, যৌন বাণিজ্য থেকে ইসরায়েল প্রতি বছর ৫০০ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করে থাকে।
পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ এক দেশ
সামরিক শক্তি ও পারমানবিক অস্ত্রে শক্তিশালী এক দেশ
ইসরায়েল এমন একটি দেশ যেখানে প্রাপ্ত বয়স্ক সব নাগরিকের জন্য সেনা প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। পুরুষদের প্রশিক্ষণের মেয়াদ তিন বছর ও নারীদের দুই বছর। শুনতে অবাক লাগলেও সত্য যে, ইসরায়েলের যতজন নাগরিক রয়েছে ঠিক ততজন সেনা সদস্য রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে উগ্র, ভয়ংকর ও শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা বলা হয় মোসাদ’কে। যারা ইসরায়েলের হয়ে কাজ করে। ইসরায়েল সামরিকভাবে বেশ শক্তিশালী। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে তৈরি তাদের ক্ষেপণাস্ত্রসমূহ। গত কয়েক দশকে তারা নিজেদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রযুক্তিধর দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে এই ইহুদি রাষ্ট্র।
গোপন পরমাণু কেন্দ্র
পৃথিবীর সবচেয়ে গোপনীয় ও সবচেয়ে অস্বচ্ছ পরমাণু কার্যক্রম চালায় ইসরায়েল। ৬০ এর দশকে দেশটি পারমাণবিক বোমার অধিকারী হয়। তবে কোথা থেকে ও কীভাবে এই পরমাণু অস্ত্র তৈরির বিপুল পরিমাণ ইউরেনিয়াম পেল সেই রহস্য সবারই অজানা। কারণ নিজ দেশে উপস্থিত পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে তারা বিশ্বকে জানায়নি। ১৯৬৪ সালে একদল মার্কিন বিজ্ঞানীকে ইসরায়েলের পরমাণু কর্মসূচী তত্ত্বাবধায়নের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু ইসরায়েল কৌশলে তাদের প্রকল্পের আসল চিত্র পাল্টে ফেলে।
ডেড সি বা মৃত সাগর দেশটির মূল আকর্ষণ
ইসরায়েল দেশটি পৃথিবীর সর্বনিম্ন অঞ্চলে অবস্থিত। এর সীমান্তে অবস্থিত ডেড সি বা মৃত সাগর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই সাগর ১৫ ফুট নিচে অবস্থিত এই মৃত সাগরে সবকিছুই ভেসে থাকে। এই সমুদ্রের পানিতে কোনো কিছুই ডোবে না। আপনি যদি সাঁতার না জানেন আর সে সাগরে ঝাঁপ দেন তবুও ডোবার ভয় নেই। কারণ এই সাগরের পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ অনেক বেশি। এই সমুদ্রে পাওয়া লবণের টুকরাগুলো বেশ বড় হয়। এই সমুদ্রের মাটিতে বিশেষ একটি উপাদান রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। তাই এই সাগরে আসা পর্যটকরা পুরো শরীরে এই মাটি মেখে রূপচর্চা করেন।
এবার তবে জেনে নিন দেশটি সম্পর্কিত বিচিত্র ও অদ্ভুত যত তথ্য যা খুব কম মানুষই জানে-
* ইসরায়েলের পণ্য বর্জনের প্রসঙ্গ আসলে, পেপসি, কোকাকোলা, বাটা, অ্যাপেক্স কিংবা ইউনিলিভারের কথা উঠে আসে। যা মোটেই সঠিক তথ্য নয়। মজার বিষয় হলো এসব কোম্পানিগুলো ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পূর্বেই যাত্রা শুরু করে। আর অ্যাপেক্স কোম্পানি বাংলাদেশি একটি প্রতিষ্ঠান।
* ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যের সমকামীদের রাষ্ট্র বলা হয়। কারণ এই দেশটিতে সমকামীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
* টাইমস ম্যাগাজিনের জরিপে, গত শতাব্দীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও বিজ্ঞানী আলভার্ট আইনস্টাইন ছিলেন একজন ইহুদি।
* ইসরায়েলেই বসবাসকারী এমন এক ধরণের সংগঠন রয়েছে যারা ইহুদি হয়েও তারা দেশবিরোধী।
* ইহুদি জাতিরা মুসলমানদের পুরো উল্টো নিয়ম কানুনের অনুসারী। যেমন ইসলাম ধর্মে মদ্যপান হারাম। অন্যদিকে ইহুদিদের জন্য মদ্যপান জায়েজ। আবার উটের মাংস ও চিংড়ি মাছ মুসলমানদের জন্য বৈধ কিন্তু ইহুদিদের জন্য অবৈধ।
* মৌলবাদী ইহুদি পুরুষরা চায় যেন তাদের স্ত্রী বছর বছর সন্তান জন্ম দিতে পারে। অন্তত স্ত্রী গর্ভে যত বেশি সন্তান নেয়া যায় নিতে থাকেন। তাদের ধারণা, ইহুদিদের জনবল বাড়লে তারা পৃথিবী শাসনে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারবে।
* মুসলিম ধর্মানুযায়ী নারীদের মাথা ঢাকতে বলা হয়, যাতে চুল না দেখা যায়। ইহুদি নারীদের বিয়ের দিন পুরো মাথা ন্যাড়া করতে হয়। বিবাহিত জীবনে আর মাথায় চুল গজানোর জোঁ নেই তাদের। চুল দেখানো মানে নারীর অবমাননা বলে মানা হয় সে দেশে। তবে কি তারা এভাবেই চুল ছাড়া বাইরে যান? না। শুধু বাইরে বের হওয়ার সময় মাথায় উইগ ব্যবহার করেন তারা।
* আইফোনের যত নতুন মডেল বাজারে বের হয় তার আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় ইসরায়েলে।
* ইসরায়েল দেশটি তাদের হীরা কাটা শিল্প, পর্যটক ও সফটওয়্যারের কারণে বিখ্যাত।
* ইসরাইলের মানুষ সত্যি সত্যিই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রচুর চিঠি লিখে৷ প্রতি বছর জেরুসালেমের ডাক বিভাগ এমন অন্তত হাজার খানেক চিঠি পায় যেখানে প্রাপকের জায়গায় লেখা থাকে ‘ঈশ্বর’!
* ইসরাইলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে বিশেষ মুদ্রা। ‘ব্রেইল’-এর মতো বর্ণের সহায়তায় কাগুজে নোটগুলোতে লেখা থাকে বলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কেনাকাটা বা মুদ্রা বিনিময়ে কোনো অসুবিধা হয় না। সারা বিশ্বে ইসরাইল ছাড়া কানাডা, মেক্সিকো, ভারত আর রাশিয়াতেও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
ইহুদিরা যেভাবে ইসরায়েল পেল…
১৯৪৮ জাহাজে করে এসে ফিলিস্তিনিতে শরণার্থী হিসেবে বসবাস শুরু করে ইহুদিরা। আর এখনকার চিত্র তো সবারই জানা। সেই ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের শেষ নেই। ইসরায়েল কর্তৃক বহু জমি দখল হয়েছে ফিলিস্তিনিদের। যাদের বয়স ৬০ থেকে ৭০ এর কোঠায় সেসব ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলদের নির্যাতন কতটা নির্মম তা জানে। কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি জন্ম থেকেই ভূমিহীন। কারাগারে দুরূহ জীবন যাপন করছে অনেকেই। আর বাকিরা স্বাধীন হওয়ার আশায় প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মোকাদ্দাসও দীর্ঘদিন ধরেই দখল করে রেখেছে ইসরায়েল সরকার। এসব কারণেই ইসরায়েল পৃথিবীর সবচেয়ে বিতর্কিত রাষ্ট্র।
জানা যায়, অতীতে ইহুদিরা অনেক নির্যাতন সহ্য করেছে। আর এর পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে জার্মানির একনায়ক হিটলার। জার্মানির একনায়কবিদ হিটলারের হুকুমেই নাৎসি বাহিনী ইহুদি নিধন কার্যক্রম শুরু করে। তাদের হাতে প্রায় ৬০ লাখ ইহুদির মৃত্যু হয়। সেই দুঃখ কাটাতেই একচেটিয়ে বিশ্বব্যাপী ধ্বংসের খেলায় নেমেছে এই জাতিরা।
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছিলেন, পরোক্ষভাবে ইহুদিরাই বিশ্বকে শাসন করছে। একটি সম্প্রদায়ের অল্প কিছু মানুষ কিভাবে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আরো বলা হয়, আমেরিকা পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে আর আমেরিকাকে নিয়ন্ত্রণ করে জুইশ কমিউনিটি। সূত্র: বিডি মর্নিং
https://www.youtube.com/watch?v=zVouWyrB5Aw
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post