রাষ্ট্রপতির পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা না–থাকার বিষয় নিয়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বুধবার বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হয়েছে। বৈঠক শেষে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তারা এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চান না, কারণ এটি সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের মন্তব্যে তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক কোন প্রমাণ নেই। এর ফলে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়।
এর প্রেক্ষিতে সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন। এটা উনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল।
গত কয়েক দিনে রাষ্ট্রপতি পদে নতুন মুখ খোঁজার খবর ছড়িয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post