পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ওমানে এবার জনপ্রতি ফিতরা ১ রিয়াল ২০০ পয়সা থেকে ১ রিয়াল ৩০০ নির্ধারণ করা হয়েছে। ওমান ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত এর সমপরিমাণ অর্থ প্রবাসীরা চাইলে বাংলাদেশেও দিতে পারবেন। তবে ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই এ ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। যেহেতু ওমানের সাথে বাংলাদেশের ঈদের সময়ের কিছু পার্থক্য থাকে, সুতরাং ওমানের ঈদের নামাজের পূর্বে এই ফিতরার অর্থ গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দিলে উত্তম হবে বলে মত দিয়েছেন ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার জনপ্রতি ফিতরা ২০ দিরহাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আমিরাতে ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই এ ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। প্রবাসীরা চাইলে আমিরাতের ২০ দিরহামের সমপরিমাণ টাকা বাংলাদেশে দিতে পারবে। তবে তা অবশ্যই আমিরাতের ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই পরিশোধ করতে হবে।
যদি বাংলাদেশের ঈদের সময় এ ফিতরা দেওয়া হয় তাহলে ফিতরা আদায় হবে না। সেটি সদকা হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন দুবাইয়ের আল জারওয়ানি মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ নুর হোছাইন। আমিরাতে বসবাসরত সব মুসলিমের জন্য ফিতরা আদায় বাধ্যতামূলক। সবাইকেই এ ফিতরা আদায় করতে হবে বলে জানিয়েছে দুবাই ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স এবং দাতব্য কার্যক্রম বিভাগ।
উল্লেখ্য: ফিতরা বা সাদকাতুল ফিতর হলো সেই নির্ধারিত সাদকা, যা ঈদের নামাজের আগে অসহায় গরিব-দুঃখীদের দিতে হয়। এটিকে জাকাতুল ফিতরও বলা হয়। ঈদের দিন সকালেও যদি করো কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ- সাড়ে ৭ ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা বা সমমূল্যের ব্যবসাপণ্য থাকে তবে তাকে তাঁর নিজের ও পরিবারের ছোট–বড় সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব।
অসহায় প্রতিবেশী ও স্বজনদের জন্য ফিতরা, দান-অনুদান ও উপহার সামগ্রী প্রদান আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ারও অন্যতম মাধ্যম। রোজা পালনে কোনোভাবে যদি রোজার আংশিক ক্ষতি, ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়; তার সমাধান ও মুক্তির মাধ্যম হচ্ছে- অসচ্ছল, অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে ফিতরা আদায় করা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post