জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। এতে কমপক্ষে ১৭০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের প্রতিবাদে উত্তাল আল-আকসার আশপাশের এলাকা। শুক্রবার জুমাতুল বিদার নামাজ আদায় করতে তারা মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। এসময় জোর করে মুসল্লিদের মসজিদ থেকে বের করে দেয় ইসরাইলি পুলিশ। এ সময় বহু মুসল্লিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উসকানিমূলক এ হামলার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে। ওমানও পুলিশের এই গৃহীত পদক্ষেপে নিন্দা জানিয়েছে।
দখলদার ইসরাইলের হামলার পর ফিলিস্তিনিদের ঢল | হামলার পরের দিন তারাবীর জামাতের দৃশ্যএক বিবৃতিতে ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘‘ইসরাইলি পুলিশ আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের উপর হামলার ঘটনাকে নিন্দা জানিয়েছে। এই ধরণের ঘটনার মুসলিম জাতির জন্য চরম নিন্দা বলে উল্লেখ করেছে ওমান। এদিকে, ফিলিস্তিনি মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, মুসল্লিদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে ইসরাইলি বাহিনী লাঠিপেটা করেছে, রাবার বুলেট ছুড়েছে। এমনকি স্টান গ্রেনেডও নিক্ষেপ করেছে তারা। মুসল্লিদের ঘিরে রেখে তাদের ওপর অমানবিক আচরণ করেছে দখলদার দেশটির পুলিশ।
দখলদার ইসরাইলের হামলার পর ফিলিস্তিনিদের ঢল | হামলার পরের দিন তারাবীর জামাতের দৃশ্যএদিকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি পুলিশি হামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আগামীকাল (সোমবার) এক জরুরী বৈঠক ডেকেছে আরব লীগ কাউন্সিল। ওমান নিউজ এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেরুজালেমের নাগরিকদের বাড়িঘর দখল করার পরিকল্পনা বিশেষত শেখ জাররাহ পাড়ায় এবং পবিত্র শহরের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছাড়া করার অবৈধ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করছে আরব লীগ।
হামলার দৃশ্যউল্লেখ্যঃ আল-আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম শ্রদ্ধার স্থান। এই স্থানটিতে এর আগেও একাধিকবার সহিংসতা হয়েছে, যা আবার দেখা গেল শুক্রবার রাতেও। ইসরাইলি পুলিশের দাবি, সন্ধ্যার নামাজের পর ‘হাজার হাজার ধর্মাবলম্বী দাঙ্গা শুরু করলে’ তারা ‘আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য’ শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। হামলার সময় আল-আকসার একজন কর্মকর্তা মসজিদের লাউড স্পিকারে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
মসজিদে হামলার ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post