লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষস্থানীয় নেতা হাশেম সাফিউদ্দীনকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। তিনি হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করে বলেছে, এটি এখন নিশ্চিত করা যেতে পারে যে, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে একটি হামলায় হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান হাশেম সাফিউদ্দীন এবং হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা অধিদফতরের প্রধান আলী হুসেইন হাজিমা অন্যান্য হিজবুল্লাহ কমান্ডারের সঙ্গে নিহত হয়েছেন।
সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ইসরাইলি বিমানবাহিনী তিন সপ্তাহ আগে লেবাননের রাজধানীতে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি দাহিয়েহের দক্ষিণ বৈরুত শহরতলিতে হিজবুল্লাহর প্রধান গোয়েন্দা সদর দফতরে একটি সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দাভিত্তিক হামলা চালিয়েছিল। সে সময় সদর দফতরে ২৫ জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
তবে, ইসরাইলের এ দাবির বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি হিজবুল্লাহ।
এর আগে, গত ৪ অক্টোবর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘সামরিক বাহিনী সাফিউদ্দীনকে নির্মূল করেছে।
লেবাননের জনগণের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ, তার পর্যায়ক্রমিক কজন উত্তসূরিসহ হাজার হাজার ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করেছে।
নাসরুল্লাহর আত্মীয় হিজবুল্লাহর এক সদস্য বলেন, সপ্তাহ আগে বৈরুতে ইসরাইলি হামলার পর থেকেই সাফিউদ্দীনের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র অক্টোবরের শুরুতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, ইরানের সঙ্গে ধর্মীয় নেতা সাফিউদ্দীনের সুসম্পর্ক ছিল। তিনি দলের শীর্ষ পদের জন্য ‘সম্ভাব্য’ প্রার্থী ছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post