করেনার নতুন ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। করোনার লাগাম টানতে হিমশিম খাচ্ছে ভারত সহ বিশ্বের অনেক দেশ। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ইদানীং কমতে শুরু করেছে করোনার তান্ডব। রবিবার (২-মে) ওমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশটিতে গত ৩ দিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫৫৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩৩ জন।
যেখানে গত রবিবার অর্থাৎ ২৫-এপ্রিল দেশটিতে ৩ দিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ৩ হাজার ৫৩৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিলো ৩৫ জন। গত রবিবারের তুলনায় আজ আক্রান্ত কমেছে ৯৮৪ জন এবং মৃত কমেছে ২ জন। গত এক সপ্তাহের হিসেব অনুযায়ী দেশটিতে করোনা বর্তমানে নিম্নমুখী রয়েছে।
বর্তমানে আইসিইউতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৭৬ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮০৭ জন। যাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন। নতুন ৩৩ জনের মৃত সহ মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৩ জন। গত ৩ দিনে নতুন সুস্থের সংখ্যা ৩ হাজার ৭১০ জন। গত ৩ দিনে আক্রান্তের চেয়ে সুস্থের সংখ্যা বেড়েছে ১১৫৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১০১ জন। এখন পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ৮২১ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ওমান সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে চলতে নাগরিক এবং প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছে ওমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যথায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে ওমান সুপ্রিম কমিটি।
এদিকে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কোভিড আতঙ্ক। নতুন করে আঘাত হানায় মহামারি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে দেশগুলো। তবে সিঙ্গাপুরের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বোঝার উপায় নেই বিশ্বে মহামারি চলছে। কেননা সিঙ্গাপুরের জীবন এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।
সম্প্রতি কয়েকটি স্থানে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়লেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় সিঙ্গাপুর। সামাজিক সংক্রমণ নেমে এসেছে শূন্যের ঘরে। ব্লুমবার্গের সবশেষ কোভিড সহনশীল দেশের তালিকায় নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর। নিউজিল্যান্ডের তুলনায় বেশ দ্রুততার সঙ্গে করোনার টিকা দিচ্ছে দেশটি।
কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় চাইলেই সহজে ছোট-খাটো পার্টিতে মেতে উঠতে পারছেন সিঙ্গাপুরের বাসিন্দারা। তবে ৮ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মাস্ক পরা এখনো বাধ্যতামূলক। কঠোর ভ্রমণ বিধিনিষেধ, বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশনসহ নানা স্বাস্থ্য সতর্কতার কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল সিঙ্গাপুর।
স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। খোলা মুভি থিয়েটার ও কনসার্ট। দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে প্রায়ই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post