ওমানের মহামান্য সুলতান হাইথাম বিন তারেকের নির্দেশনায় দেশটিতে কর্মরত প্রবাসীদের স্থানে ওমানি নাগরিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে ব্যাপক পড়িসরে কাজ শুরু করেছে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ওমান টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে দেশটির শ্রমমন্ত্রী ডাঃ মাহাদ বিন সাইদ বিন আলী ভাওয়াইন জানিয়েছেন, চলতি বছর নতুন শ্রম আইনের মাধ্যমে দেশে ওমানি নাগরিকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই চলতি বছরে প্রায় ১০ হাজার ওমানি নাগরিককে চাকরি দিতে সক্ষম হয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী বলেন, “ওমানীদের চাকরি দেওয়ার জন্য সুলতান হাইথাম বিন তারিকের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রম মন্ত্রণালয় নতুন শ্রম আইন জারি করেছে। এই আইনের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের বাদ দিয়ে সেই খাতগুলোতে ওমানি নাগরিকদের কর্মক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া হবে। আশা করা যাচ্ছে চলতে বছরে ৩০ হাজারের বেশি ওমানি নাগরিকদের নতুনভাবে চাকরিক্ষেত্রে প্রবেশ করার সুযোগ তৈরি করে দিবে শ্রমমন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘নতুন আইনের মাধ্যমে ওমানি নাগরিকদের চাকরীর ব্যবস্থা করা হবে। একইসাথে প্রতিবেদনের মাধ্যমে কি পরিমাণ ওমানি নাগরিকের চাকরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে সেই বিষয়েও জানানো হবে। বর্তমান দেশের প্রতিবন্ধকতা অবস্থায় ওমানি নাগরিকদের কার্যক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সহজী-করণে কাজ করছে দেশটির শ্রমমন্ত্রণালয়।”
এদিকে ওমানের নতুন শ্রম আইনের কারণে সংকুচিত হয়ে আসছে প্রবাসীদের কর্মক্ষেত্র এমনটি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। ওমানিকরনের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মাস্কাট থেকে এক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী প্রবাস টাইমকে বলেন, “ওমানিকরন এবং নতুন ভ্যাট আইনের কারণে বেশ বিপাকে আছি। এমনিতেই করোনার কারণে দেড় বছর যাবত ব্যবসা মন্দা। এরপর নতুন নতুন আইনের কারণে আরো হতাশা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।”
এই প্রবাসী ব্যবসায়ী আরো বলেন, একজন বাংলাদেশীকে যে পরিমাণ বেতনে কাজ করানো যেত, একই পজিশনে এখন একজন ওমানিকে বেতন দিতে হবে ৩ থেকে ৪ গুন বেশি। অপরদিকে একজন প্রবাসী যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন, ওমানি নাগরিক তার অর্ধেকও কাজ করেননা বলে আক্ষেপ করেন এই ব্যবসায়ী।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post