ওমান থেকে আরও ২৮৯জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন আজ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ২৮৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিয়ে ওমান এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওমানে বসবাসের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় দেশটির কারাগার আছেন বেশ কিছু বাংলাদেশি শ্রমিক। কারাগার থেকে বিশেষ ক্ষমায় মুক্তি দেওয়া ২৮৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফিরেছেন। দেশটির সরকার একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের দেশে পাঠানো ব্যবস্থা করে। এ নিয়ে দেশটি থেকে চার দফায় ১০৪৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হলো।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘এদের বেশির ভাগই ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাসের দায়ে দেশটির শ্রম আদালতের হাতে আটক হয়েছিল। তাদের মুক্তি দেওয়ায় তাঁরা দেশে ফিরেছে। তাঁদের সবার কভিড-১৯ নেই মর্মে সনদ থাকায় হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। আমরা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কারোর মধ্যে কোনো লক্ষণ পায়নি। তাই বাড়ি গিয়ে তাদের কিভাবে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে সে বিষয়ে কাউন্সেলিং করে দিয়েছি।’
আরও পড়ুনঃ ‘মধ্যপ্রাচ্য থেকে শিগগিরই ২৮ হাজার ফেরত আসবে’
এদিকে ওমানে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মাস্কাটসহ ওমানের বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অভিযানে ফ্রি ভিসার (ফ্রিল্যান্স কাজ), স্পন্সরদের থেকে পালিয়ে কাজ করার অপরাধ এবং যথাযথ বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারায় অসংখ্য প্রবাসী শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রসঙ্গত, মরুর দেশ ওমানে বর্তমানে ৮ লাখ বাংলাদেশি আছেন। কাজের সন্ধানে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে আরো বহু শ্রমিক প্রবেশ করছেন। এদের মধ্যে বড় একটি অংশ দালালের মাধ্যমে ফ্রি ভিসা নিয়ে এদেশে আসছেন।
জানাগেছে, মহামারী করোনার এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৮,০০০ শ্রমিককে দেশে ফেরত আনা হবে। এর মধ্যে ওমান থেকে প্রায় ১০০০ শ্রমিককে ফেরত আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
https://www.youtube.com/watch?v=_C6JICciFPM
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post