দেশের বাইরে বসে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে অনবরত উস্কানি দেওয়া ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে জানা যায়, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চে হেফাজতের তান্ডবের পর সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক থেকে দেশ ও সরকার বিরোধী প্রবাসী উস্কানিদাতাদের একটি তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।
নির্দেশ অনুযায়ী দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে যারা অনবরত উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস, টুইট ও ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করছে এদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকা অনুযায়ী ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু আরব দেশের প্রশাসনের সাথে স্থানীয় রাষ্টদূতের মাধ্যমে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছে সরকার।
সরকারের এক উচ্চপর্যায়ের কর্তাব্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছে, আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশে অবস্থান করে দেশের বিরুদ্ধে উস্কানিদাতা অনলাইন এক্টিভেস্টদের ব্যাপারে স্ব স্ব রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ সম্পন্ন হবে, এবং সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে উস্কানিদাতাদের কাজের পারমিট বাতিল ও আজীবনের জন্য সেই দেশ থেকে ব্যান করে দেয়ার প্রসেস চলবে। তিনি আরো জানান, তালিকায় স্থান পাওয়া উস্কানিদাতাদের সেই দেশের প্রশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত এনে আইনের আওতায় নেয়ার প্রক্রিয়াও চলছে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের অন্য এক কর্মকর্তা জানান, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা কাউকে ছাড় না দিতে তাদের কাছে কঠোর নির্দেশ আছে, আর সেই নির্দেশমতো বাংলাদেশ থেকে যোগাযোগের পর দেশের বিরুদ্ধে টুইটারে উস্কানিমূলক টুইট করার দ্বায়ে ইতালির রোম শহর থেকে দুইজনকে আটক করেছে সেই দেশীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post