ওমানে প্রথমবারের মতো ১৬ই এপ্রিল থেকে কার্যকর হলো মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন। এই আইনের কারণে দেশটির সকল নাগরিক ও প্রবাসীদের পণ্য ও পরিষেবা ব্যয় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে যথাযথ ভ্যাট আইন কার্যকর হলে সরকারের প্রতিবছর এক মিলিয়ন ডলারের অধিক রাজস্ব আয় বাড়বে। তবে এই আয় বাড়াতে দেশের সকল ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ ভ্যাট আদায় নিশ্চিত করতে হবে।
গত বছরের শেষের দিকে ওমানে ভ্যাট আইন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই ভ্যাট আইনের আওতায় রয়েছে দেশটির সকল ছোট, বড় ও মাঝারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। তবে খাদ্যদ্রব্যসহ বেশি কয়েক ধরনের পণ্য ভ্যাট আইনের আওতাভুক্ত বা ভ্যাটমুক্ত পণ্য ঘোষণা করেছে ওমান সরকার।
এছাড়া অন্যান্য পণ্য ও সেবা, মোটর জ্বালানী, টেলিকম পরিষেবা এবং বিদ্যুৎ ও পানির ব্যয়ে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত করেছে সরকার। দেশটির দুইটি শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী ওমানটেল ও ওরেডো উভয়ই সাম্প্রতিক সময়ে নিশ্চিত করেছে যে তারা পাঁচ শতাংশ হারে টেলিকম পরিষেবাদিতে ভ্যাট কার্যকর করেছে। নতুন প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড গ্রাহকদের জন্য পণ্য এবং পরিষেবাতে এই ভ্যাট কার্যকর হবে।
ওমানটেল কোম্পানি সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “চলতি বছর ১৬ এপ্রিল থেকে সরকারী আদেশ অনুযায়ী সকল সিম কার্ডে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট যুক্ত হয়েছে। তবে এই ভ্যাট কলরেট, এসএমএস বা অন্যকোনো পরিষেবায় যুক্ত করা হবে না। পোস্টপেইড গ্রাহকদের ক্ষেত্রে তাদের মাসিক বিলের সাথে এই ভ্যাট যুক্ত করে দেওয়া হবে। মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভেষজ ঔষধ এবং স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তৈরি খাদ্যদ্রব্যে ভ্যাট কার্যকর হবে না।
দেশটির নতুন এই ভ্যাট আইনে প্রভাব পরবে ব্যবসায়ীদের উপর। সেইসাথে বাদ যাবেনা প্রবাসীরাও। ওমানে বসবাসের জন্য প্রবাসীদের ব্যয়ভার এখন থেকে বাড়বে। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এমন ভ্যাট আইনের সমালোচনাও করেছেন অনেকে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post