ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ২ কেজি ৭৫০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করেছে বিএসএফ। আন্তর্জাতিক বাজারে এই স্বর্ণের মূল্য আনুমানিক ১.৯৮ কোটি রুপি। এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে তিন কৃষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ৭৩ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি (বিওপি) এলাকা থেকে বিএসএফ জওয়ানরা বিভিন্ন আকারের ২৩টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। ওই স্বর্ণের বারগুলো পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন ভারতীয় কৃষককে। এসব স্বর্ণের বার নিজেদের দুইটি সাইকেলের ফ্রেমে লুকিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিলেন অভিযুক্ত কৃষকরা। জব্দ করা স্বর্ণের মোট ওজন ২.৭৫ কেজি এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৯৮ লাখ রুপি।
বিএসএফ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে চাষাবাদ থেকে ভারতে ফিরে আসা সন্দেহজনক কৃষক এবং তাদের সাইকেলগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির সময় বিএসএফ জওয়ানরা তিনজন ভারতীয় কৃষকের কাছ থেকে বড় আকৃতির ১৫টি স্বর্ণের বার এবং অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। ওইসব স্বর্ণের টুকরো সাইকেলের ফ্রেমে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আটককৃত তিনজন কৃষক এবং জব্দকৃত স্বর্ণগুলো পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার কৃষকরা জানায়, বাংলাদেশের রাজশাহীর বুধপাড়া গ্রামের কয়েকজন অজ্ঞাত বাংলাদেশির কাছ থেকে এই স্বর্ণের চালান নিয়ে তারা একটি সাইকেলের ফ্রেমে ১২টি স্বর্ণের টুকরো এবং অন্য একটি সাইকেলের ফ্রেমে ১১টি স্বর্ণের টুকরো লুকিয়ে রাখে। বিএসএফ’র ডমিনেশন লাইন অতিক্রম করার পর স্বর্ণের এই চালানটি ভারতীয় সীমানায় এক অজ্ঞাত বাস কন্ডাক্টরের কাছে হস্তান্তর করা কথা ছিল। সেই চালান নিতে ওই ব্যক্তি সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় সেখপাড়া এলাকায় আসার কথা ছিল। চালান ডেলিভারির পরে, তারা স্বর্ণের টুকরো প্রতি ৫০০ রুপি পারিশ্রমিক পেতেন। কিন্তু স্বর্ণসহ চালান ডেলিভারির আগেই বিএসএফ তাদের আটক করে। গ্রেফতার সকল ব্যক্তি ও জব্দকৃত স্বর্ণ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post