ওমান ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে মহামারী করোনার। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আইসিইউতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দেশটির বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউ শয্যা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। কোথাও খালি নেই আইসিইউ’র বেড। দেশটির রয়্যাল হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে আইসিইউতে। এছাড়াও খালি নেই দেশটির সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল। সালালাহর সুলতান কাবুস হাসপাতাল এবং খাসাব হাসপাতালের চিত্র একই।
সোমবার (১২-এপ্রিল) ওমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনা রোগীর জন্য আইসিইউগুলিতে বরাদ্দকৃত মোট বেডের সংখ্যা ২১৯টি। যার মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৮ টি বেড খালি রয়েছে। বাকি সমস্ত বেড করোনা রোগী দিয়ে ভরপুর। দেশটিতে অস্বাভাবিক হারে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ওমানকে। বর্তমানে দেশটিতে গড় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার অতিক্রম করেছে। এমতাবস্থায় নাগরিকদের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে উদ্বিগ্ন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে করোনা মহামারি অবসান হওয়ার এখনও অনেক বাকি আছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রমাণিত নিয়মগুলো অনুসরণ করা গেলে এই মহামারি কয়েক মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার (১২ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরাও সমাজ এবং অর্থনীতি পুনরায় খোলা দেখতে চাই। দেখতে চাই ভ্রমণ ও বাণিজ্য আবারও সচল হচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে অনেক দেশে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলো উপচে পড়ছে রোগীতে আর মানুষ মারা যাচ্ছে। যা সম্পূর্ণভাবে এড়ানো সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারি অবসানের এখনও অনেক বাকি। কিন্তু আমাদের আশাবাদী হওয়ার বহু কারণ রয়েছে। এই বছরের প্রথম দুই মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু কমে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে এই ভাইরাস এবং এর ভ্যারিয়েন্টগুলো থামানো সম্ভব।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র করোনা বিষয়ক টিম লিডার মারিয়া ভান কেরকোভ ওই সংবাদ সম্মেলনে জানান, মহামারি খুব বেশি হারে বাড়ছে। গত সপ্তাহে আক্রান্ত বেড়েছে নয় শতাংশ। আর বিগত টানা সাত সপ্তাহ ধরে আক্রান্তের হার বাড়ছে। একই সময়ে মৃত্যু বেড়েছে পাঁচ শতাংশ।
সংস্থা প্রধান বলেন, কয়েকটি দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও রেস্টুরেন্ট, নাইটক্লাবগুলো পূর্ণ থাকছে, মার্কেটগুলোও খোলা থাকছে। আর এসব স্থানে সমবেত হওয়া মানুষের খুব অল্প সংখ্যকই সতর্কতা অবলম্বন করছে। তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করছে, অপেক্ষাকৃত তরুণরা করোনা সংক্রমিত হলেও তাদের কিছু হবে না। বিষয়টি তেমন নয়।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post