সুদানের রাজধানী খার্তুমে একটি বাজারে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় ২৩ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন একটি সুদানি স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী নেটওয়ার্ক।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সংগঠনটি জানায়, হামলার শিকার বাজারটি সুদানের রাজধানীর একটি প্রধান শিবিরের কাছে অবস্থিত। সেখানে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
যুব নেতৃত্বাধীন ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস ফেসবুকে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে দক্ষিণ খার্তুমের প্রধান বাজারে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় ২৩ জন নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার থেকে খার্তুমে তীব্র লড়াই চলছে। শহরের বেশির ভাগ অংশ আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সামরিক বাহিনী শহরের কেন্দ্র ও দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে দেশটির সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক উপপ্রধান ও আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই লড়াইয়ে আরএসএফ খার্তুম থেকে সেনাবাহিনীকে প্রায় বের করে দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এই গৃহযুদ্ধে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। তবে কিছু অনুমান অনুযায়ী এই সংখ্যা দেড় লাখ পর্যন্ত হতে পারে।
জাতিসংঘ বলছে, এ যুদ্ধ বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি সংকট তৈরি করেছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সুদানের জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ, অর্থাৎ এক কোটিরও বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এ ছাড়া আগস্টে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মূল্যায়নে ঘোষণা করা হয়, দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশের শহরের কাছে জমজম শরণার্থীশিবিরে দুর্ভিক্ষ চলছে।
সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সরকার লোহিত সাগরের উপকূলে অবস্থিত পোর্ট সুদানে রয়েছে, যেখানে তারা নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। অন্যদিকে আরএসএফ পশ্চিম দারফুরের প্রায় সব অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সুদানের কৃষি অঞ্চলগুলো দখল করেছে ও সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post