জামালপুরে প্রবাস ফেরত স্বামীর সাথে মার্কেট করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন স্ত্রী মানেকা। তাই স্ত্রীকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আকুতি জানিয়েছেন সৌদী প্রবাসী স্বামী।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাব জামালপুরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীকে উদ্ধারে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের সহায়তা চান এই প্রবাসী।
জাকিরুলের বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চর গুজামানিকা গ্রামে। জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মালঞ্চ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মরহুম নূরুল ইসলামের মেয়ে মনেকা আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি।
জানা যায়, ২০ বছর প্রবাস জীবন শেষ ৬ মার্চ জীবনে অর্জিত সম্পদ নিয়ে দেশে ফিরেন জাকিরুল। দেশে ফেরার পর বাবা মায়ের অনুরোধে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন মনেকাকে।
এরপর সুখেই চলে আসছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। মনেকা আক্তার কয়েক দফায় বাবার বাড়িতে গিয়ে আবার ফিরে আসেন স্বামীর বাড়িতে।
১৫ সেপ্টেম্বর মনেকার বড় বোন ওমরাহ পালন করে জাকিরুলদের বাড়িতে আসেন। বড় বোনের সাথে বাবার বাড়িতে গিয়ে পাঁচ দিন পর স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাকিরুল বলেন, বাবার বাড়ি আসার পর তাকে মার্কেটে নিয়ে যাবার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে মনেকা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মেলান্দহ উপজেলা শহরে কেনাকাটা করার জন্য নিয়ে যাই তাকে। আমি তাকে একটি দোকানে রেখে প্রাকৃতির ডাকে সাড়া দিতে চাই। এই সুযোগে পালিয়ে যায় স্ত্রী মনেকা। এরপর মনেকাকে খুঁজতে গেলে তার পরিবার আমাকে উল্টো হুমকি দিচ্ছে।
জাকিরুল বলেন, সে বাড়ি থেকে বের হবার সময় বিদেশ থেকে আনা পাঁচ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার আলমারি থেকে নিয়ে গেয়েছে। এ সময় জাকিরুল কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার আকুতি আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। তাকে না পেলে আমি আর আমার পরিবার শেষ হয়ে যাব। মনেকার বড় বোন নূরেজা তা স্ত্রীকে সরিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন জাকিরুল।
খোদেজা নামের মনেকার এক চাচাত বোন জানিয়েছে মনেকা নারায়ণগঞ্জে তার বড় বোনের সাথে আছে। হতভাগা সৌদি প্রবাসী জাকিরুল তার স্ত্রীকে ফেরত চান। এক মাস ধরে স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে মেলান্দহ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন জাকিরুল।
তিনি সৌদি আরবের জেদ্দায় একটি পাওয়ার প্লানে মেকানিং হিসেবে ২০ কাজ করে দেশে ফিরে ছিলেন বলে জানান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post