আরজি কর-কাণ্ডের প্রবাসীদের প্রতিবাদে ও ন্যায়-বিচারের দাবিতে চলছে ডাক্তারদের আন্দোলন ৷ সেই আন্দোলনে এবার সামিল প্রবাসী বাঙালিরা ৷ তাঁদের মুখেও শোনা যাচ্ছে প্রতিবাদের সুর ৷
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ । আর সেই তেরো পার্বণের শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গাপুজো । পুজোর এই চারদিনের জন্য সব বাঙালিই অপেক্ষা করেন সারা বছর । প্রবাসী বাঙালিরা এই সময়ে ফিরে আসেন নিজের দেশে । মেতে ওঠেন শারদ আনন্দে । এই বছরও তার অন্যথা হয়নি । এই বছরও পুজোর টানে দেশে পা রেখেছেন প্রবাসীরা । তবে এবার তাঁদের মুখে শারদ শুভেচ্ছা নয়, বরং শোনা যাচ্ছে প্রতিবাদের সুর ।
কেউ এসেছেন কানাডা থেকে, কেউ বা নেদারল্যান্ডস অথবা আমেরিকা থেকে । তাঁরা সবাই মিলে হাজির হয়েছেন ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনা মঞ্চে । সেখানেই ন্যায় বিচারের দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকের সাত প্রতিনিধি রয়েছেন অনশনে । ধর্মতলা চত্বরে ভিড় করা সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই গলা তুলে ন্যায় বিচারের দাবি জানালেন এই প্রবাসীরা ।
কাজের সূত্রে নেদারল্যান্ডসে থাকেন বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, আমরা ওখানে লাগাতার আন্দোলন করছি । সব বাঙালিরা ওখানে আন্দোলন করছেন । আমি পুজোয় কলকাতায় ফিরেছি ৷ কিন্তু উৎসব করতে নয় । এই কলকাতাকে দেখে কান্না পাচ্ছে ।
তবে বিদিশা একা নন, সঙ্গে এসেছেন তাঁর স্বামীও । তিনি নেদারল্যান্ডসের বাসিন্দা । জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন তিনিও । বিদিশা বলেন, ওরা ভাবতে পারে না সঠিক বিচারের জন্য কোনও দেশের মানুষকে লড়াই করতে হয়। এটা ওর কাছে লজ্জাজনক ।
অন্যদিকে কানাডা থেকে এসেছেন অঙ্কিতা দাস । তিনি বলেন, আমি কাজের সূত্রে কানাডায় থাকি । কিন্তু আমার বয়স্ক মা এখানে থাকেন । আমার একটা মেয়ে আছে । তাদের দিকে তাকাই আর ভাবি কী সমাজের অবস্থা । এই অবস্থায় কীভাবে উৎসবে ফিরতে পারি ! একটা বছর যদি আমরা উৎসব বন্ধ করে আন্দোলনকে সমর্থন করি, তাহলে আগামী বছরগুলো ভালো যাবে । এই আন্দোলন সদর্থক হলে পশ্চিমবাংলা কালিমামুক্ত হবে ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post