বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ‘বাস্তবায়ন’ করবে সরকার। এ সাত দিনে আভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটের সকল ফ্লাইট বন্ধের কথা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। আজ রবিবার ফ্লাইট বন্ধের ব্যাপারে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)।
বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য অর্থাৎ আগামী ২০ এপ্রিল রাত ১২ টা নাগাদ বাংলাদেশ থেকে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। কঠোর লকডাউনের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যানবাহন সবকিছু বন্ধ থাকায় যাত্রীদের বিমানবন্দরে পৌঁছাতে সমস্যা হবে। ফলে দেখা যাবে যাত্রীরা হয়তো তাদের নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারছেন না।” এর আগে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী সাত দিনের বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করে সরকার। এতে অভ্যন্তরীণ রুটে সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বেবিচক। বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, লকডাউনের সময়ে অনুমতি নিয়ে কার্গো বিমান, স্পেশাল/চাটার্ড ফ্লাইট চলাচল করতে পারবে।
উল্লেখ্যঃ গত ৯ এপ্রিল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যানবাহন, গার্মেন্টস কারখানাসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে। তিনি জানান, লকডাউন চলাকালে কোনোভাবেই মানুষকে ঘরের বাইরে আসতে দেওয়া হবে না।
এদিকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করায় চরম আতংকের মধ্যে রয়েছেন বিদেশগামী নতুন যাত্রী সহ দেশে ছুটিতে আসা প্রবাসীরা। এরমধ্যে যেসব প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে অথবা যারা ইতিমধ্যেই টিকিট কেটে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছেন, তাদের যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম।
ফ্লাইট বন্ধের বিরোধিতা করে ব্র্যাক মাইগ্রেশনের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, “জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশ থেকে রোজ হাজারো প্রবাসী কর্মী বিদেশে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক রুটে তাই বিমান চলাচল বন্ধ না করার অনুরোধ করছি। অন্তত বাংলাদেশ নিজে থেকে যেন এই সিদ্ধান্ত না নেয়। দেখেন, গত তিন মাসে প্রায় দেড় লাখ কর্মী বিদেশে গেছেন। এখনো রোজ যাচ্ছেন। বিদেশে গেলে করোনা ছড়ায় না। আর নেগেটিভ সনদ নিয়েই এরা যাচ্ছেন। প্রয়োজনে বিশেষ বিমান দেন। কারণ একবার যাওয়া পিছিয়ে গেলে পরে নানা সংকট তৈরি হয়। টিকেটের দামও বাড়ে। মনে রাখবেন কোভিডের মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে। কাজেই বৈদেশিক এই কর্মসংস্থানটা যেন কোনোভাবেই বন্ধ না হয়।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post