ফ্রান্সের কোনো এক জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল এই সোনার পেঁচাটির রেপ্লিকাকে। এটিকে খুঁজতে সময় লাগল ৩১ বছর। কোনো গুপ্তধন সন্ধানে এটাই দীর্ঘতম অভিযান বলে গণ্য করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সার লা ডি লা চোয়েতে বি’অর (দ্য হান্ট ফর দ্য গোল্ডেন আউল)’ বইটি লিখেছিলেন ম্যাক্স ভ্যালেন্টিন। ১৯৯৩ সালে বইটি প্রকাশের আগে সোনা ও রূপা দিয়ে বানানো এই পেঁচাটির মূর্তি বানান তিনি। ওই মূর্তির অনুরূপ ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি আরেকটি মূর্তি বানিয়ে লুকিয়ে ফেলেন তিনি। ফ্রান্সের মেইনল্যান্ডের কোনো এক স্থানে অতি গোপনে লুকিয়ে রাখা হয় এটা। শর্ত ছিল, যিনি নকলটিকে খুঁজে পাবেন তিনিই আসলটির মালিক বনে যাবেন।
বৃহস্পতিবার ওই পেঁচার অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট অফিসিয়াল চ্যাটলাইনে একটি পোস্টে বলা হয়, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, সোনালি পেঁচার রেপ্লিকা রাতে পাওয়া গেছে।’ এই পোস্টটি করেছেন মিশেল বেকার। তিনি দ্য হান্ট ফর দ্য গোল্ডেন আউল বইটিতে চিত্রায়ণ করেছিলেন। পেঁচার ছবিটিও এঁকেছেন তিনি। তবে এই পোস্টের পর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি বিবিসি। তাই কোথা থেকে পেঁচাটি পাওয়া গেছে তা জানা যায়নি।
কয়েক হাজার মানুষ এই পেঁচার খোঁজে অংশ নিয়েছে। এ নিয়ে অনেক লেখালেখিও হয়েছে।
২০০৯ সালে মারা যান ভ্যালেন্টিন। তবে একটি গোপন খামে ভরে রেখে যান যাবতীয় সূত্র। কিন্তু সেটাও এখন তাঁর পরিবারের সম্পত্তি। আরেকটা সূত্র ছিলেন বেকার। কিন্তু বছর চারেক আগে সমালোচনা শুরু হয় যখন তিনি এটি বিক্রির পাঁয়তারা করেন। আদালত তাঁর এই অপচেষ্টা রোধ করেন এবং ঘোষণা দেন যে নকলটির সন্ধানকারীকেও আসলটি পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।
ফরাসি সম্প্রচারমাধ্যম ক্যানাল প্লাসের একটি ডকুমেন্টরিতে বলা হয়, সোনার পেঁচাটির আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯ কোটি ৭৬ লাখ ৬ হাজার ১০০ টাকা)।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post