আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের বড় একটি অংশ। গাজা, লেবানন আর সিরিয়ায় একের পর এক ইসরায়েলি হামলায় নতুন করে সংঘাত দেখা দিয়েছে পুরো অঞ্চলে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও চলছে সংঘাত।
লড়াই, যুদ্ধ, সীমান্ত সংঘাত যত বাড়বে রাষ্ট্রগুলোর সামরিক খাতে খরচও তত বাড়াতে হবে—এটাই স্বাভাবিক। তবে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যারা সরাসরি যুদ্ধে জড়িত না থেকেও সামরিক খাতে বিপুল পরিমাণে খরচ করে থাকে।
সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ করা দেশগুলোর একটি তালিকা করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই)। এই প্রতিষ্ঠান সামরিক ব্যয়, অস্ত্র বাণিজ্য বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। খরচের এই হিসাব ২০২৩ সালের।
তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। এসআইপিআরআই বলছে, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে ৯১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে।
পরের দুটি নাম যথাক্রমে চীন ও রাশিয়ার। চীনের সামরিক খরচ ২৯৬ বিলিয়ন ডলার। আর ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধরত রাশিয়া সামরিক খাতে ১০৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারত ও সৌদি আরব। ভারতের সামরিক খরচ ৮৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। সৌদি আরবের ৭৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
তালিকায় যুক্তরাজ্য ও জার্মানি যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাজ্য খরচ করেছে ৭৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। জার্মানি ৬৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।
মস্কোর বিরুদ্ধে জোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। দেশটি ২০২৩ সালে সামরিক খাতে ৬৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। নবম অবস্থানে থাকা ফ্রান্স খরচ করেছে ৬১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
আর শীর্ষ ১০-এর সবশেষ নামটি জাপানের। দেশটি সামরিক খাতে ৫০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post