ইরানে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। এই হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু নিয়ে রয়েছে আলোচনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানে হামলার পক্ষে হলেও তেহরানের পরমাণু কর্মসূচিকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর বিরোধিতা করেছেন। বাতলে দিয়েছেন হামলার বিকল্প লক্ষ্যবস্তুও।
তবে এক ধাপ এগিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবার নর্থ ক্যারোলিনায় এক নির্বাচনী সমাবেশে গিয়ে বাইডেনের দেওয়া পরামর্শের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। এসময় ট্রাম্প বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা চালানো উচিত।
আগে কর, তারপর ভাবো- এমন নীতিতে বিশ্বাসী ট্রাম্প বলেন, পরমাণু স্থাপনায় আঘাত করতে হবে। তারপর এ নিয়ে ভাবা যাবে। এর আগে বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইসরায়েল যদি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়, তাহলে সমর্থন করবেন কিনা? জবাবে না বলে দেন বাইডেন।
গেল কয়েক মাসের ব্যবধানে মঙ্গলবার ইসরায়েলে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা চালায় ইরান। এরপর কড়া জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তেল আবিব। তবে শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি ইরানে হামলা চালাবেন। অবশ্য সেই হামলা কবে, কখন এবং কী মাত্রায় হবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, নেতানিয়াহু বলেন, সম্প্রতি ইরান ইসরায়েলের যে মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, বিশ্বের অন্য কোনো দেশ তাদের ভূখণ্ড ও জনগণের ওপর এই মাত্রার হামলা বরদাস্ত করবে না, ইসরায়েলও করবে না।
তিনি বলেন, নিজের ভূখণ্ড ও নাগরিকদের রক্ষা করা শুধু অধিকারই নয়, এটি ইসরায়েলের দায়িত্বও। ইসরায়েল সেই দায়িত্ব নিশ্চিতভাবেই পালন করবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post