প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য হোটেল বুকিং নিয়ে ওমানে আগত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের প্রবাসীরা কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন। দেশটির বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ওমান আগত যাত্রীদের সুপ্রিম কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমপক্ষে ৭ দিনের জন্য একটি হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যা বেশ ব্যয়বহুল।
একদিকে দীর্ঘদিন দেশে আটকেপড়ার কারণে এমনিতেই ঋণগ্রস্থ হয়ে পরেছেন প্রবাসীরা। অন্যদিকে টিকেটের আকাশচুম্বী মূল্য। এরপর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য হোটেল খরচ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রবাসীদের। এমতাবস্থায় দেশটির বেশিরভাগ নিম্ন ও মধ্যম বাজেটের হোটেলের সকল রুম বুকিং হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দেশটিতে আগত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের প্রবাসীরা।
সোহেল নামে এক ওমান প্রবাসী বলেন, মায়ের চিকিৎসার জন্য দেশে এসেছিলাম। এখন ঋণ করে টিকিট কেটে ওমান যাচ্ছি। এরপর ওমান যেয়ে হোটেলের ভাড়া কিভাবে দিবো এই চিন্তায় ঘুম আসছেনা। এমনিতেই মায়ের চিকিৎসা করিয়ে হাত শূন্য। দেশেও কোনো কামকাজ নেই। ওমানেও মাত্র ৩০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করি। এমতাবস্থায় পুনরায় ওমান যাওয়া নিয়ে চিন্তায় পরে গেছি। দেশে ভালো কোনো কাজ পাইলে ওমান যাওয়ার আর সিদ্ধান্ত ছিলোনা বলেও জানান সোহেল।
তার মতো এমন শতাধিক যাত্রী প্রবাস টাইমের কাছে জানিয়েছেন তাদের অসহায়ত্বের কথা। এমতাবস্থায় প্রয়োজনে হোম কোয়ারেন্টাইনের উপর ওমান সরকার আরো কড়াকড়ি আরোপ করে হলেও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের প্রবাসীদের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের দাবী জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য: ওমান সুপ্রিম কমিটির নিয়ম অনুযায়ী “দেশটিতে আগত সকল যাত্রীদের ‘সাহালা’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক সাত দিনের কোয়ারান্টিনের জন্য একটি হোটেল বুক ও পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।” অন্যথায় ওমান প্রবেশের অনুমতি মিলবেনা যাত্রীদের।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post